শ্রীমহিষাসুরমর্দিনী স্তোত্রম্

কবি শ্রীরামকৃষ্ণ বিরচিত,
"শ্রীমহিষাসুরমর্দিনী স্তোত্রম্"

বঙ্গদেশে শারদীয় দুর্গোৎসব এবং বসন্তকালের বাসন্তী দুর্গোৎসবে একটি হালে অবিচ্ছেদ্য হয়ে গেছে। অপূর্ব ধ্বনিমাধুর্য এবং পদলালিত্য সম্পন্ন সেই স্তোত্রটি হল "শ্রীমহিষাসুরমর্দিনী স্তোত্রম্"। সংস্কৃত শব্দের অপূর্ব  প্রয়োগ হয়েছে স্তোত্রটিতে। বিশ শ্লোকের এ স্তোত্রে প্রত্যেকটি প্রত্যেকটি শ্লোকের শেষপাদে  "জয় জয় হে মহিষাসুরমর্দিনি রম্যকপর্দিনি শৈলসুতে" বাক্যটি ধ্রুবপদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এই দেবীস্তোত্রটি বঙ্গদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় হলেও, অধিকাংশ বাঙালিই এই স্তোত্রটির রচয়িতার নাম জানে না। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। অনেকটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'সোনারতরী' কবিতার মত। যে মহাকালের তরীতে সৃষ্টির স্থান হলেও, সৃষ্টিকর্মের স্রষ্টার স্থানসংকুলান হয় না।

 এ স্তোত্রটির প্রসঙ্গে এ কথাটি অনেকটাই সত্য। আমিও অনেক খোঁজ করে, পরিশেষে জানতে পেরেছি এর রচয়িতার নাম। এই স্তোত্রটির রচয়িতা হলেন দক্ষিণ ভারতের শ্রীরামকৃষ্ণ নামের এক কবি। আবার আদি শ্রীশঙ্করাচার্যের রচনা হিসেবেও শ্রীমহিষাসুরমর্দিনী স্তোত্রটি খ্যাত। শ্রীশঙ্করাচার্যের রচিত গ্রন্থের সংখ্যা ১৫১ টি। এই ১৫১ টি গ্রন্থের মধ্যে দেবস্তোস্ত্র গ্রন্থের সংখ্যা ৭৫ টি। এই ৭৫ টি গ্রন্থের মধ্যে কোথাও শ্রীমহিষাসুরমর্দিনী স্তোত্রের নাম পাওয়া যায় না।তাই স্তোত্রটি কার বিরচিত এ বিষয়টি নিয়ে উপযুক্ত তথ্যসূত্র বিহীন নির্দ্বিধায় বলা বেশ দুষ্কর। তবে রচনা যাঁরই হোক, এ স্তোত্রে শ্রীমহিষাসুরমর্দিনী দেবীর স্বরূপ এবং মাহাত্ম্য যেভাবে ব্যক্ত হয়েছে, তা এককথায় বিরল। 



অয়ি গিরিনন্দিনি নন্দিতমেদিনি বিশ্ববিনোদিনি নন্দিনুতে
গিরিবরবিন্ধ্যশিরোঽধিনিবাসিনি বিষ্ণুবিলাসিনি জিষ্ণুনুতে।
ভগবতি হে শিতিকণ্ঠকুটুম্বিনি ভূরিকুটুম্বিনি ভূরিকৃতে
জয় জয় হে মহিষাসুরমর্দিনি রম্যকপর্দিনি শৈলসুতে॥১ 

"হে মাতা! তুমি গিরিরাজ হিমালয়ের বাৎসল্য আনন্দদায়িনী উমা। বিশ্ব ভূমণ্ডলেরও তুমি আনন্দদায়িনী। শিবের প্রধান অনুচর নন্দীর আরাধ্যা। তুমি পর্বতশ্রেষ্ঠ বিন্ধ্যাচলে বিন্ধ্যবাসিনীরূপে বাস কর। তুমি বিষ্ণুর বিলাসিনী বৈষ্ণবী। দেবরাজ ইন্দ্রও তোমার শ্রীচরণে সদা প্রণত হন। তুমি শিতিকণ্ঠ শিবের পরিবারভুক্তা হয়ে, জগতের সকলের মাতা। তুমি বিশ্ববাসী সকলের সৌভাগ্যদায়িনী। সুন্দর জটাজুটধারিণী মহিষাসুরমর্দিনী হে শৈলসূতে! তোমার জয় হোক, তোমার জয় হোক।"

সুরবরবর্ষিণি দুর্ধরধর্ষিণি দুর্মুখমর্ষিণি হর্ষরতে ত্রিভুবনপোষিণি শঙ্করতোষিণি কিল্বিষমোষিণি ঘোষরতে।
দনুজনিরোষিণি দিতিসুতরোষিণি দুর্মদশোষিণি সিন্ধুসুতে
জয় জয় হে মহিষাসুরমর্দিনি রম্যকপর্দিনি শৈলসুতে॥২ 

"হে মাতা! তুমি সুরলোকের অধিবাসী দেবতাগণের বরদাত্রী। দুষ্টশক্তির দমনকারিণী এবং অশুভশক্তির বিনাশকারিণী। তুমি সদা আনন্দময়ী। ত্রিভুবনের পোষণকারিণী তুমি জগন্মাতা। তুমি শঙ্করের শক্তিস্বরূপা। তুমি জগতের পাপবিমোচনকারিণী। অসুরদের বিরুদ্ধে রণ-উল্লাসে তুমি অট্টহাস্যকারিণী। দানবদের দর্পনাশিনী। দিতিসূত দৈত্যদের প্রতি ক্রোধান্বিতা। দুর্ধর্ষ আসুরিক শক্তির পরাক্রম বিনাশিনী। তুমি সমুদ্র উৎপন্না লক্ষ্মী। সুন্দর জটাজুটধারিণী মহিষাসুরমর্দিনী হে শৈলসূতে! তোমার জয় হোক, তোমার জয় হোক।"

অয়ি জগদম্ব মদম্ব কদম্ব বনপ্রিয়বাসিনি হাসরতে শিখরি শিরোমণি তুঙ্গহিমালয় শৃঙ্গনিজালয় মধ্যগতে।
মধুমধুরে মধুকৈটভগঞ্জিনি কৈটভভঞ্জিনি হাসরতে জয় জয় হে মহিষাসুরমর্দিনি রম্যকপর্দিনি শৈলসুতে ॥ ৩

"হে মাতা ! তুমি জগতের মাতা এবং আমারও মাতা। সদাসুস্মিতবদনা তুমি কদম্বপুষ্পের বনে মহানন্দে বাস কর। সুউচ্চ হিমালয় পর্বতের শিরোপরি রত্নস্বরূপ বিরাজিত গিরিশৃঙ্গ মধ্যে অবস্থিত কৈলাশে তোমার আবাস। তুমি মহিষাসুরকে বধের পূর্বে সুমিষ্ট মধু পানরতা। মধু এবং কৈটভ নামক দুই দৈত্যের তুমি বিমোহনকারিণী। তাদের বিনাশে তুমি বিজয়িনীর অট্টহাসি করেছিলে।সুন্দর জটাজুটধারিণী মহিষাসুরমর্দিনী হে শৈলসূতে! তোমার জয় হোক, তোমার জয় হোক।"

অয়ি শতখণ্ড বিখণ্ডিতরুণ্ড বিতুণ্ডিতশুণ্ড গজাধিপতে রিপুগজগণ্ড বিদারণচণ্ড পরাক্রমশুণ্ড মৃগাধিপতে। 
নিজভুজদণ্ড নিপাতিতখণ্ড বিপাতিতমুণ্ড ভটাধিপতে । 
জয় জয় হে মহিষাসুরমর্দিনি রম্যকপর্দিনি শৈলসুতে॥৪ 

"হে মাতা! তুমি দেবতাদের শত্রু সেই দানবদের শতখণ্ডে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছ এবং হস্তীমুখ দৈত্যদের মুণ্ড তাদের দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছ। হে গজচর্মপরিহিতা দেবী চামুণ্ডে, তুমি চণ্ডের পরাক্রমশালী সব হস্তীগুলির গণ্ডদেশ বিদীর্ণ করে দিয়েছ, হে সিংহবাহনা দেবী দুর্গে! তুমি সেনাধিপতি মুণ্ডকেও নিজ হস্তে পরাভূত করেছ। সুন্দর জটাজুটধারিণী মহিষাসুরমর্দিনী হে শৈলসূতে! তোমার জয় হোক, তোমার জয় হোক।"

অয়ি রণদুর্মদ শত্রুবধোদিতদুর্ধরনির্জর শক্তিভৃতে চতুরবিচার ধুরীণমহাশিব দূতকৃত প্রমথাধিপতে। দুরিতদুরীহ দুরাশয়দুর্মতি দানবদূত কৃতান্তমতে। জয় জয় হে মহিষাসুরমর্দিনি রম্যকপর্দিনি শৈলসুতে ॥ ৫

"হে মাতা! তুমি যে সকল দেবদেবীগণের অদম্য শক্তিসমূহের যুগপৎ অধিকারিণী, তা রণক্ষেত্রে তুমি যেভাবে গর্বোদ্ধত ও দুর্ধর্ষ সব অসুর সেনাদের নিধন করেছ তার দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। তুমি দেবতাসহ শুভ শক্তির বিজয়ে ধুরন্ধর ও কুশল পরামর্শদাতা। প্রমথাধিপতি শিবকে দূত হিসেবে দানবরাজ শুম্ভের কাছে প্রেরণ করেছ। দানবরাজ শুম্ভের অতি পাপিষ্ঠ ও অতি দুর্বুদ্ধিসম্পন্ন সহযোগী, যারা তার হয়ে যুদ্ধ করতে এসেছিল তাদের যমালয়ে প্রেরণ করেছ। সুন্দর জটাজুটধারিণী মহিষাসুরমর্দিনী হে শৈলসূতে! তোমার জয় হোক, তোমার জয় হোক।"


অয়ি শরণাগত বৈরিবধূবর বীরবরাভয় দায়করে ত্রিভুবনমস্তক শূলবিরোধি শিরোঽধিকৃতামল শূলকরে। 
দুমিদুমিতামর দুন্দুভিনাদমহোমুখরীকৃত দিগ্মকরে জয় জয় হে মহিষাসুরমর্দিনি রম্যকপর্দিনি শৈলসুতে ॥ ৬

"হে মাতা! অসুরপক্ষের বীর সেনানীগণের মহিষীগণ তোমার শরণাগত হলে তুমি তোমার শ্রীহস্ত দিয়ে তাদের বরাভয় প্রদান করে সেই সব সেনানীগণকে ক্ষমা করে দিয়েছ। ত্রিভুবনের শিরঃপীড়ার কারণ অসুরপ্রধান মহিষাসুরকে পবিত্র ত্রিশূলধারিণী তুমি দমন করেছ। অসুর বিজয়ের আনন্দে দেবতাগণ ত্রিভুবনের দিকে দিকে দুম্ দুম্ শব্দে দুন্দুভি-নিনাদ করেছে।সুন্দর জটাজুটধারিণী মহিষাসুরমর্দিনী হে শৈলসূতে! তোমার জয় হোক, তোমার জয় হোক।"

অয়ি নিজহুংকৃতিমাত্র নিরাকৃত ধূম্রবিলোচন ধূম্রশতে সমরবিশোষিত শোণিতবীজ সমুদ্ভবশোণিত বীজলতে। শিবশিবশুম্ভ নিশুত্তমহাহব তর্পিতভূত পিশাচরতে জয় জয় হে মহিষাসুরমর্দিনি রম্যকপর্দিনি শৈলসুতে॥ ৭

হে মাতা! তোমার সক্রোধে একটি ‘হুম’ শব্দর হুংকারেই অসুর ধূম্রলোচন ও তার সৈন্যবর্গ ভস্মীভূত হয়ে গেল। রণক্ষেত্রে আহত ও নিহত অসুরদের গাত্র হতে নির্গত রক্তকণিকা শুকিয়ে গিয়ে এক লোহিত লতাবৃক্ষের আকার গ্রহণ করেছিল। সেই লোহিত বীজলতার সঙ্গে ‘শিব শিব’ মন্ত্রোচ্চারণের মধ্যে নিহত শুম্ভ ও নিশুম্ভের দানবদেহ ভূতপ্রেতাদির পরিতৃপ্তির জন্য অর্পিত হয়। সুন্দর জটাজুটধারিণী মহিষাসুরমর্দিনী হে শৈলসূতে! তোমার জয় হোক, তোমার জয় হোক।"

ধনুরনুষঙ্গ রণক্ষণসঙ্গ পরিস্ফুরদঙ্গ নটৎকটকে কনকপিশঙ্গ পৃষৎকনিষঙ্গ রসদ্ভটশৃঙ্গ হতাবটুকে। কৃতচতুরঙ্গ বলক্ষিতিরঙ্গ ঘটদ্বহুরঙ্গ রটদ্বটুকে। জয় জয় হে মহিষাসুরমর্দিনি রম্যকপর্দিনি শৈলসুতে॥ ৮ 

"হে মাতা! যুদ্ধকালে তীরসহ ধনুকে জ্যা রোপণ করতে গিয়ে তোমার হাতের বালাগুলি ঝলমল করে নেচে উঠেছিল। তুমি অনায়াসেই তোমার তৃণীর থেকে স্বর্ণকান্তি পিঙ্গলবর্ণের বাণগুলি শত্রুসৈন্যের বৃথা কলরব থামিয়ে দিয়ে নিক্ষেপ করেছিলে। শত্রুদলের অশ্বারোহী, গজারোহী, রথারোহী ও পদাতিক—এই চারপ্রকারের চতুরঙ্গ বাহিনীর সৈন্যদের বিরুদ্ধে রণক্ষেত্রে তুমি অনায়াসেই বহুরঙ্গ খেলার মতো করে যুদ্ধ করেছ। সুন্দর জটাজুটধারিণী মহিষাসুরমর্দিনী হে শৈলসূতে! তোমার জয় হোক, তোমার জয় হোক।"

জয় জয় জপ্য জয়েজয়শব্দ পরস্তুতি তৎপর বিশ্বনুতে ঝণঝণ ঝিংঝিমি ঝিংকৃতনূপুর শিঞ্জিতমোহিত ভূতপতে। 
নটিত নটার্ধ নটী নট নায়ক নাটিতনাট্য সুগানরতে জয় জয় হে মহিষাসুরমর্দিনি রম্যকপর্দিনি শৈলসুতে॥ ৯

"হে মাতা! তোমার উদ্দেশে গীত বিশ্বের বন্দনাগান রণক্ষেত্রে উত্থিত তোমার জয়ধ্বনি ও তোমার উদ্দেশে দেবতাদের স্তুতিগানের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। তোমার পায়ের নূপুরের ঝনঝন ঝঙ্কারধ্বনিতে ভূতপতি শিবও মুগ্ধ। তোমার এই বিজয় অভিযান উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত নট, নটী ও নায়কদ্বারা অনুষ্ঠিত নৃত্যগীতাদি ও সুমধুর সঙ্গীত ও বাদ্যধ্বনি মুখরিত অভিনীত নাট্যানুষ্ঠানে তুমি আনন্দিত হও। সুন্দর জটাজুটধারিণী মহিষাসুরমর্দিনী হে শৈলসূতে! তোমার জয় হোক, তোমার জয় হোক।"

অয়ি সুমনঃ সুমনঃ সুমনঃ সুমনঃ সুমনোহর কান্তিযুতে শ্রিতরজনী রজনী রজনী রজনী রজনীকর বক্ত্রবৃতে।
সুনয়ন বিভ্রমর ভ্রমর ভ্রমর ভ্রমর ভ্রমরাধিপতে জয় জয় হে মহিষাসুরমর্দিনি রম্যকপর্দিনি শৈলসুতে॥১০

হে মাতা! তুমি উত্তম স্বভাবসুলভ দিব্যধামবাসিগণের উদ্যানে প্রস্ফুটিত পারিজাত ফুলের লোভনীয় উজ্জ্বলতার অধিকারিণী। তোমার মুখমণ্ডল চন্দ্রের জ্যোৎস্নায় আলোকিত হয়ে অত্যন্ত মনোহর দেখাচ্ছে। তোমার ত্রিনয়ন ভ্রমরসদৃশ, তোমার কণ্ঠে শোভমান যে পুষ্পমাল্য তা ভ্রমরে ভ্রমরে আচ্ছাদিত থাকায়, তুমি 'ভ্রামরী' নামে অবিহিতা।সুন্দর জটাজুটধারিণী মহিষাসুরমর্দিনী হে শৈলসূতে! তোমার জয় হোক, তোমার জয় হোক।"

সহিতমহাহব মল্লমতল্লিক মল্লিতরল্লক মল্লরতে বিরচিত বল্লিক পল্লিক মল্লিক ঝিল্লিক ভিল্লিক বর্গবৃতে।
সিতকৃতফুল্ল সমুল্লসিতারুণতল্লজ পল্লব সল্ললিতে
জয় জয় হে মহিষাসুরমর্দিনি রম্যকপর্দিনি শৈলসুতে॥১১

"হে মাতা! তুমি মল্লিকা বা জুঁইফুলের লতার মতো কোমল হয়েও বহুবিধ মল্লযুদ্ধ বিশারদ মল্লবীর যোদ্ধার শক্তিকেও হার মানিয়েছ। কিন্তু তবু মধুমক্ষিকাকুলে সমাকীর্ণ জুঁইফুলে সুসজ্জিতা পল্লিবালার মতো সদ্যোজাত ও ঈষৎলালাভ কচিকচি পত্রপল্লব দ্বারা বেষ্টিতা মহানন্দে পরিপূর্ণা হয়ে তুমি অত্যন্ত সুন্দর।সুন্দর জটাজুটধারিণী মহিষাসুরমর্দিনী হে শৈলসূতে! তোমার জয় হোক, তোমার জয় হোক।"

অবিরল গণ্ডগলম্মদমেদুর মত্তমতঙ্গজরাজপতে ত্রিভুবনভূষণ ভূতকলানিধি রূপপয়োনিধি রাজসুতে। 
অয়ি সুদতীজন লালসমানস মোহনমন্মথ রাজসুতে জয় জয় হে মহিষাসুরমর্দিনি রম্যকপর্দিনি শৈলসুতে॥ ১২

"হে মাতা ! তুমি গণ্ডদেশ বেয়ে অবিরলধারায় স্নিগ্ধ অশ্রুধারা বহমান এমন সব রাজকীয় মদমত্ত হস্তীর অধিকারিণী। ত্রিভুবন তোমার ভূষণ, সর্ব প্রকার কলাশিল্পের তুমি আধার, তুমি সৌন্দর্যের সমুদ্র, গিরিরাজকন্যা। তোমাকে পূজারতা ললনাদের মনে তুমি মুক্তিরূপ তোমাকে পাওয়ার লালসা বা আকাঙ্খারূপিনী। তুমি কামদেবসহ সবাইকেই মোহিত কর।সুন্দর জটাজুটধারিণী মহিষাসুরমর্দিনী হে শৈলসূতে! তোমার জয় হোক, তোমার জয় হোক।"


আরো পড়ুন:  



Comments

Populer Post

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের, প্রবন্ধে সেকালের বাবুচরিত্র

‘সাগুদানা’ একাদশীতে খাবেন? না খাবেন না?

রাজা শান্তনু, সত্যবতী এবং ঋষি পরাশরের অবস্থা মহাভারতের প্রকৃতি বদলে দিয়েছে ।

উপবীত বা পৈতার মাহাত্ম্য , উপবীত বা পৈতা কাহাকে বলে?

বৃন্দাবন ত্যাগ করে চিরতরে মথুরায় গমনকালে শ্রীকৃষ্ণের বয়স কত ছিল- শাস্ত্রীয় রেফারেন্স

বাড়িতে শ্রী গণেশ ঠাকুরের প্রতিস্থাপন এবং কীভাবে বির্সজন করবেন, জেনে নিন সহজ পদ্ধতি