Posts

Showing posts from December 19, 2021

কোরানে কি লেখা আছে, যিশু খ্রিস্ট মুসলমানদের দৃষ্টিকোণ থেকে?

Image
 ইসলামের শেষ নবী, মোহাম্মদ (সাল-লাল-লাহো আলাইহি ওয়াসাল্লাম) 630 খ্রিস্টাব্দে মক্কা জয় করে তার প্রথম স্বপ্নের একটি পূরণ করেছিলেন। এরপর তিনি মক্কা নগরী থেকে পৌত্তলিকতার নাম-ও-নিশান মুছে ফেলার আদেশ জারি করেন। মক্কার উপর মোহাম্মদ সাহেবের এই ধর্মীয় বিজয়ের মধ্যেও গভীর রাজনৈতিক সংকেত লুকিয়ে ছিল। মক্কাকে নতুন ধর্মের মারকাজ ঘোষণা করা হয়; অতএব, মক্কা বিজয় ছিল এক আল্লাহর প্রতি আহ্বানের পূর্ণতা। কাবায় প্রবেশের পর, অর্থাৎ যে বর্গাকার ভবনে শহরের সমস্ত মূর্তি রাখা হয়েছিল, নবী মোহাম্মদ সেখান থেকে সমস্ত মূর্তি সরিয়ে ফেলা বা ধ্বংস করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কাবায় রক্ষিত সমস্ত দেব-দেবীর মূর্তিগুলির মধ্যে একটি ছিল একটি কুমারী মেয়ে এবং তার সন্তানের। এই খ্রিস্টান মূর্তির দিকে অগ্রসর হয়ে, মোহাম্মদ এটিকে তার পোশাকে ঢেকে দেন এবং সেখান থেকে অন্য সমস্ত মূর্তিগুলিকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। এটি একটি সত্য বা একটি মিথ্যা? এই প্রশ্ন কোন ব্যাপার না. আমি যে প্রতিবেদনটি উদ্ধৃত করেছি তা কমপক্ষে 1200 বছর পুরানো এবং ইসলামিক লেখার প্রথম দিকের সময়কালের। কিন্তু, এই গল্পটি যা বলে, তা হল ইসলাম এবং যিশু খ্রি...

মন্দিরে যিশুপূজা কি যৌক্তিক ? বাইবেলের রেফারেন্সসহ শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা।

Image
বাঙালি হিন্দুর বারো মাসে তেরো পার্বণের সাথে আরেকটি পার্বণ হল বড়দিন বা যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন। যিশুখ্রিস্ট খ্রিস্টান ধর্মের প্রবর্তক। একজন মহাপুরুষ হিসেবে আমরা বড়দিনে যিশুকে স্মরণ করতে পারি। অথবা বড়দিনে গির্জায় গিয়ে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রোগামে অংশগ্রহণও করতে পারি; কিন্তু মন্দিরে সংস্কৃত স্তোস্ত্রগীত, পূজামন্ত্র তৈরি করে যিশুখ্রিস্টের পূজা যথাযথ নয়। যেহেতু যিশুখ্রিস্টকে হিন্দু সম্প্রদায়ের অবতার সাজিয়ে পূজা করাটা খ্রিস্টধর্মও সমর্থন করে না। যিশুখ্রিস্টের পূজার প্রসাদ বলে নিবেদন করা হয়েছে কেক, বিস্কুট,চকলেট, চানাচুর, স্যান্ডউইচ, বার্গার কোল্ডড্রিঙ্কস ইত্যাদি। দেবতাদের মত ষোড়শ উপচারে যিশু খ্রিস্টের পূজা করতে যিশুর ধ্যানমন্ত্র তৈরি করেছে, রামকৃষ্ণ মঠ ।  বিষয়টি দুঃখজনক এবং সম্পূর্ণভাবে অশাস্ত্রীয়। রামকৃষ্ণ মঠের নব্য তৈরি করা যিশুখ্রিস্টের পূজায় ব্যবহৃত সংস্কৃত ধ্যানমন্ত্র হল: "ওঁ মধুরসরলবাক্যৈ-রীশতত্ত্বং প্রকাশ্য, ক্রশগতপরিশেষঃ অপীশপুত্রঃ অমৃত যঃ। তমতিশয় পবিত্রং মেরিজং লোকবন্ধুম্,  বিমলপরমহংসং রামকৃষ্ণং ভজামঃ।।" (স্বামী অমৃতত্বানন্দ ২০১৮: ১০৫) ষোড়শ উপচারে রামকৃষ্ণ মঠে যিশুখ্রিস্ট ...

শক্তিপূজায় বলি কী আবশ্যকীয় উপাচার ?

Image
সনাতন ধর্মে পশুবলি প্রথা দৃষ্টিকটু হলেও, শাস্ত্রে নিষিদ্ধ নয়।শুধুমাত্র বৈষ্ণব শাস্ত্রাদিতে পশুবলির আবশ্যকতা খুব একটা পাওয়া যায় না। এর অন্যতম কারণ বৈষ্ণব শাস্ত্রাদিতে ও উপাসনায় অহিংসা তত্ত্বের প্রভাব এবং শ্রীরামানুজাচার্য, শ্রীমধ্বাচার্য, শ্রীনিম্বার্ক এই প্রধান চার বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের প্রধান আচার্যবৃন্দ সকলেই দক্ষিণ ভারতের। আর বলার অপেক্ষা রাখে না, দক্ষিণ ভারতে ঐতিহাসিকভাবেই নিরামিষাশী প্রভাব প্রবল। সেখানে বহু মুসলিম এবং খ্রিস্টানরাও নিরামিষাশী।এই নিরামিষ খাদ্যাভ্যাসেরই সরাসরি প্রভাব পরেছে বৈষ্ণব সম্প্রদায়গুলোর উপরে। কিন্তু এর পরেও বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের বেদের পরে প্রধানতম গ্রন্থ শ্রীমদ্ভাগবত এবং বিষ্ণু পুরাণে ধূপ, প্রদীপ, উপহার এবং বলি দ্বারা পূজা করতে বলা হয়েছে। তবেই দেবী সকল মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করবেন। অর্চিষ্যন্তি মনুষ্যাস্ত্বাং সর্বকামবরেশ্বরীম্‌ । ধূপোপহারবলিভিঃ সর্বকামবরপ্রদাম্‌ ।। ( শ্রীমদ্ভাগবত: ১০. ২.১০) "তুমি সর্বলোকের সকলের প্রার্থনাপূরণকারিণী বরদাদেবীরূপে পূজিতা হবে। লোকে ধূপ,প্রদীপ, উপহার এবং বলি দ্বারা সকল মনোবাঞ্ছা পূরণের জন্যে তোমার পূজা করবে।" আদ্যাশক্তি মহামায়ার উদ্দ...