Posts

Showing posts from August 1, 2021

গৌড়ীয় বা বঙ্গীয় বৈষ্ণব ধর্ম প্রচার করাই চৈতন্যে মহাপ্রভুর লক্ষ্য ছ্লি না।

Image
  গৌড়ীয় বা বঙ্গীয় বৈষ্ণব ধর্ম চৈতন্যের জীবন ও শিক্ষার উপর ভিত্তি করে (১৪৮৬-১৫৩৩), এই সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা, যাকে কৃষ্ণ-চৈতন্য, চৈতন্য মহাপ্রভু এবং গৌরাঙ্গ ("ন্যায্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ") বলা হয়। গৌড়ীয় বৈষ্ণবদের চৈতন্যও বলা হয়। চৈতন্য দেবতার আলিঙ্গনে তাঁর উৎসাহে মাত্র আটটি শ্লোকের একটি সংস্কৃত কবিতা লিখেছিলেন, যদিও কৃষ্ণ এবং রাধার প্রেমের অভিজ্ঞতা পেয়ে তাঁর উচ্ছ্বসিত গান এবং নাচ অন্যদের অনুপ্রাণিত করেছিল। এই অনুসারীদের মধ্যে ছিলেন ছয়টি গোসভামিন ("যাজক"), যারা এই সম্প্রদায়ের একটি ধর্মতত্ত্ব লিখেছিলেন। বেদান্তের দ্বৈত বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মাধবের প্রভাব সনাক্ত করা যায় চৈতন্যের জন্য, একটি মাধব তপস্বী দ্বারা শুরু হয়েছিল এবং এই সম্প্রদায়ের সংগঠক নিত্যানন্দ ছিলেন প্রাক্তন মাধব তপস্যা।

সৌন্দর্য্য ধরে রাখতে চান? জেনে রাখুন যোগাসন সম্পর্কে কিছু প্রয়োজনীয় কথা ।

Image
 যে ভঙ্গিমায় শরীরকে রাখলে শরীর স্থির থাকে অথচ কোনোরূপ কষ্টের কারণ ঘটে না, সাধারণ অথে তাকে তাকে যোগাসন বা আসন বলে । সংক্ষেপে স্থির ও সুখজনকভাবে অবস্থান করার নামই আসন। ভারতীয় ঋষিগণ শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং বিভিন্ন রোগ নিরাময় করতে যোগাসন করতেন। বর্তমানে বিশ্ব করোনা মহামারীর কারণে যোগপ্রেমীদের সংখ্যা বেড়েছে। আমরা অনেক সময় না জেনে যোগাসন করতে গিয়ে এর সুফল থেকে বঞ্চিত হই।

বিজয় দাদা ও বিজয়া বৌদির শুভবিবাহ (তাং-২৩ জুলাই-২১) স্মৃতিচারণ....

Image
জীবনের সুখের মুহুর্তগুলো ক্ষণস্থায়ী হয়। কারণ দুঃখের মুহুর্তের তুলনায় সুখের মুহুর্তের উপলব্ধি আমাদের অনেক কম হয় । তাই তো অকোপটে বলি আমার এত দুঃখ কেন ভগবান? ২৩ শে জুলাই দিনটি আমার জীবনের সেরা দিনগুলোর মধ্যে অন্যতম। বিশ্ব মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে এ্রইবার ঈদুল আজাহার ছুটিতে আমার বাড়ি যাওয়া প্রায় অনিশ্চিত ছিল। হটাৎ আমার অন্যতম শ্রদ্ধেয় জেষ্ঠ্য ভ্রাতা বিজয় ব্যানার্জী দাদা’র বিবাহ ঠিক হল কালীগঞ্জ শহরে।

`নার্সিসিজম' ব্যক্তিকে; হাস্যকর করে, বন্ধুহীন করে।

Image
 অধিকাংশ মানুষই স্বনির্মিত শৃঙ্খলে আবদ্ধ। এই স্বনির্মিত শৃঙ্খলের মধ্যে বর্তমানকালে অন্যতম একটি শৃঙ্খল হল ' নার্সিসিজম ’। একে বাংলায় ‘আত্মপ্রেম’ বা 'আত্মকেন্দ্রিকতা’ নামেও অবিহিত করা হয়। পশ্চিমা গ্রিকপুরাণে নার্সিসিজমের পৌরাণিক ঘটনাটি রয়েছে।  নার্সিসাস নামে বিওশিয়ার থেসপি শহরের একজন অত্যন্ত সুদর্শন যুবক ছিল। তিনি খ্যাতিমান ছিলেন শিকারী এবং জন্মগতভাবে অনুপম সৌন্দর্যমণ্ডিত সুঠাম দেহের অধিকারী। গ্রিক পুরাণ কাহিনী অনুসারে নার্সিসাসের মাতা ছিলেন জলপরী লিরিওপি এবং পিতা ছিলেন নদীর দেবতা সেফিসাস। নার্সিসাস তার নিজ সৌন্দর্যে প্রচণ্ড গর্বিত ছিল। যে সকল নারী তার প্রেমে পড়ত তাদেরকে সে প্রত্যাখ্যান করে দিত। সবার প্রেমকেই প্রত্যাখ্যান করায়  ন্যায়পরায়ন ক্রোধের দেবী নেমেসিস তাঁকে একদিন অভিশাপ দিলেন। দেবী বললেন,"নার্সিসাস, তুমি এমন একজনের প্রেমে পড়বে যাকে তুমি শুধু দূর থেকেই দেখতে পারবে। কখনও তাকে কাছে পাবে না। এমনকি স্পর্শও করতে পারবে না।" অভিশাপের ধারাবাহিকতায় ক্ষুব্ধ দেবী নেমেসিস নার্সিসাসকে একটি হ্রদের দিকে আকৃষ্ট করে। দেবীর অদৃশ্য আকর্ষণে নার্সিসাসও হ্রদের পাড়ে চলে আসে।

হিন্দুত্ববাদ ও মহাপ্রভুর অবদান

Image
আজকাল ’হিন্দুত্ববাদ’ শব্দটির সাথে সকলে পরিচিত। কিন্তু এই হিন্দুত্ববাদী চেতনার জাগরণ আজ থেকে নয়। কালক্রমে  বিভিন্ন যুগপুরুষের হাতে সাকার হয়েছে আজকের হিন্দুত্ববাদী চেতনা। মধ্যযুগে যে যুগপুরুষের হাত ধরে হিন্দুত্ববাদী নবজাগরণ তিনি শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভু। ১৪০৭ শকাব্দে (১৪৮৫ খ্রিস্টাব্দে) যখন মহাপ্রভুর আবির্ভাব তখন ভারতবর্ষে কঠোর মুসলিম শাসন। দিল্লীতে তখন লোদী বংশের শাসন। ১৪৮৯ খ্রিস্টাব্দে সিকান্দার লোদী দিল্লীর গদীতে বসেন এবং মথুরা ও অগ্রবন(বৃন্দাবনের অন্যতম বন) ধ্বংস করে আগ্রা স্থাপন করেন। বঙ্গদেশে তখন শাহ সুলতানদের শাসন চলছে। প্রকাশ্যে হরিধ্বনি, হরিনাম, পূজার্চন নিষিদ্ধ তখন। সুলতানের অনুচরদের কানে খবর গেলে গ্রামসহ উৎখাত করা হতো।  রাত্রিবেলায় হরিনাম করতেও জনসাধারণ ভয় পেত।