মনুসংহিতায় নারী অধিকার

মনুসংহিতায় নারী অধিকার মনুসংহিতা সকল স্মৃতিশাস্ত্রের অগ্রগণ্য। মনুসংহিতার প্রথম অধ্যায়ে নারী এবং পুরুষের উৎপত্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে, নারীপুরুষ একে অন্যের পরিপূরক।একজন ছাড়া, অন্যজন অসম্পূর্ণ। সৃষ্টির প্রারম্ভে পরমেশ্বর নিজের দেহকে দ্বিধা বিভক্ত করে অৰ্দ্ধেক অংশে পুরুষ ও অর্দ্ধেক অংশে নারী সৃষ্টি করলেন। দ্বিধা কৃত্বাত্মনো দেহমৰ্দ্ধেন পুরুষোংভবৎ। অর্দ্ধেন নারী তস্যাং স বিরাজমসৃজৎ প্রভু।৷ (মনুসংহিতা:১.৩২) "সেই প্রভু প্রজাপতি আপনার দেহকে দ্বিধা করে অৰ্দ্ধেক অংশে পুরুষ ও অর্দ্ধেক অংশে নারী সৃষ্টি করলেন এবং তারপর সেই নারীর গর্ভে বিরাট্কে উৎপাদন করলেন।" মনুসংহিতার নারী-পুরুষের সাম্যাবস্থার বিষয়টি কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতাতেও পাওয়া যায়। তাঁর 'সাম্যবাদী' কাব্যগ্রন্থের বিখ্যাত 'নারী' কবিতার প্রথম স্তবকেই বলা হয়েছে : "সাম্যের গান গাই— আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই! বিশ্বে যা-কিছু মহান্ সৃষ্টি চির-কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর। বিশ্বে যা-কিছু এল পাপ তাপ বেদনা অশ্রুবারি, অর্ধেক তার আনিয়াছে নর, অর্ধেক তার নারী!" মনুসংহিতায় নারী প...