বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের, প্রবন্ধে সেকালের বাবুচরিত্র

বাঙালি হিন্দু ভদ্রলোক বোঝাতে বর্তমানে 'বাবু' শব্দটি বহুল প্রচারিত। বর্তমানে অনেক নব্য ধনী ব্যক্তিরা আছেন, তাদের নামের সাথে যদি বাবু শব্দটি ব্যবহৃত না হয়, তারা ভয়ংকর ক্ষুব্ধ হয়ে যান। এই ভূখণ্ডের শাশ্বত সংস্কৃতির চিহ্ন হিসেবে নামের সাথে প্রাচীনকাল থেকেই লক্ষ্মী, সমৃদ্ধি এবং সৌন্দর্যবাচক 'শ্রী' শব্দটি ব্যবহৃত। কিন্তু সেই শ্রী শব্দটিকে পাশ কাটিয়ে কেন এবং কিভাবে বাবু শব্দটি বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠলো, এ বিষয়টি অত্যন্ত রহস্যজনক। বাবু শব্দটি সম্ভবত তুর্কি ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে। শব্দটি এ দেশীয় হিন্দু সংস্কৃতির সাথে যুক্ত নয়। এরপরেও বাঙালি হিন্দু ভদ্রলোক বা সম্মানিত ব্যাক্তি, হিন্দু পরিবারের কর্তা বা বয়স্ক পুরুষদের ক্ষেত্রে শব্দটি ব্যবহৃত হয়। কিন্তু বর্তমানে শব্দটি তার পূর্বের অর্থ ছাপিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রীর একে অন্যের প্রেমপূর্ণ সম্বোধনবাচক শব্দে রূপান্তরিত হয়েছে। এবং সেই প্রেমপূর্ণ সম্বোধনবাচক শব্দে রূপান্তরিত হয়ে শব্দটি বর্তমানে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে গেছে। বিশেষ করে তরুণ-তরুণী এবং যুবক- যুবতীদের মাঝে। তবে সবথেকে মজার ব্যাপার হল, ...