Posts

Showing posts from August 8, 2021

সমরেশ মজুমদার : জ্যোৎস্নায় বর্ষার মেঘ

Image
বই;-জ্যোৎস্নায় বর্ষার মেঘ. লেখক;-সমরেশ মজুমদার. জ্যোৎস্নায় বর্ষার মেঘ সমরেশ মজুমদারের একটি অন্যতম সৃষ্টি। ১৯৯৯সাল প্রথম প্রকাশিত এবং অসাধারণ এই উপন্যাসের কাহিনী সত্যিই চমৎকার ভাবে বিন্যস্ত। উপন্যাস এর মূল চরিত্রে রয়েছেন অবন্তি ও স্বর্ণেন্দু যেখানে বাংলা উপন্যাসের জ্যোৎস্নায় বর্ষার মেঘ সমরেশ মজুমদারের নামে বইয়ের নামে একটি কঠিন অর্থ অন্যদিকে নামের অর্থ আমাদের বিষন্নতা। সমরেশ মজুমদার বর্ণিত উপন্যাসে অবন্তি’র দু'চোখে অপার স্বপ্ন নিয়ে বেড়ে ওঠা একটি মেয়ে।এম.এ.তে ফার্স্টক্লাস পাওয়া, ভাল চাকরি,বাবা মায়ের মুখের হাসি এই ছিল জীবনের লক্ষ্য।বাবা স্কুল মাস্টার কমলাকান্তের ও একান্ত ইচ্ছে ছিল এমনই। সাহিত্যানুরাগী বাবা সবসময় মেয়েকে স্বপ্ন দেখার অনুপ্রেরণা যোগাতেন। হাসিখুশিতে ভরা ছিল তাদের জীবন।স্বপ্নময়ী এই মেয়েটির জীবনে একদিন আবির্ভাব ঘটে স্বর্ণেন্দু নামের এক যুবকের। চঞ্চল রঙ্গিন ফড়িং এর মত অবন্তির নিস্তরঙ্গ জীবনে সে সঞ্চার করে অন্যরকম এক প্রাণের স্পন্দন। বাবা কমলাকান্ত চ্যাটার্জিও খুশি হয় তাদের দেখে। ঠিক করেন খুব শীঘ্রই বিয়ে দিয়ে দিবেন তাদের। তবে রূপকথার মত এই জীবনের হঠাৎ ঘটে ছন...

‘সাগুদানা’ একাদশীতে খাবেন? না খাবেন না?

Image
সাবুদানা ভারতে এত বিশুদ্ধ বলে মনে করা হয় যে, মানুষ উপবাসে এটি একটি ফল হিসেবে খায়। এটা দিয়ে খিচরি, খির, পাপড়, পুডিংসহ অন্যান্য অনেক খাবার তৈরি করা হয়, যা মানুষ খুব উৎসাহের সাথে খায়। অনেকেই জানেন না যে অনেক উপকারে ভরপুর এই সাবুদানা শেষ পর্যন্ত কিভাবে তৈরি হয়। কিছু লোক মনে করে যে এটি এক ধরণের শস্য, যদিও এটি মোটেও নয়। আসুন, আজ আমরা সাগু সম্পর্কে আপনার যা যা জানা দরকার তা বলব:    সাবুদানা, যাকে অধিকাংশ মানুষ শস্য বলে মনে করে, এটি শস্য নয় বরং একটি বিশেষ ধরনের গাছের কাণ্ড থেকে তৈরি খাদ্যসামগ্রী । সাগো মূলত পূর্ব আফ্রিকায় পাওয়া সাগো পাম নামে একটি গাছের কাণ্ডের সজ্জা থেকে প্রস্তুত করা হয়। এই গাছের মোটা কাণ্ডের মাঝের অংশটি গুঁড়ো করতে পিষে নেওয়া হয়। এর পরে, এই পাউডারটি ফিল্টার করে গরম করা হয় যাতে এর দানা তৈরি হয়। যে কাঁচামাল থেকে সাগু তৈরি করা হয় তাকে ট্যাপিওকা রুট বলে। এটি কাসাভা নামেও পরিচিত।

ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে, এক নির্ভীক ক্ষণজন্মা বিপ্লবী অগ্নিশিশু ছিলেন ক্ষুদিরাম বসু।

Image
কেন ভয় করিব, আমি কি গীতা পড়ি নাই ? ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে, এক নির্ভীক ক্ষণজন্মা বিপ্লবী অগ্নিশিশু ছিলেন ক্ষুদিরাম বসু। ক্ষুদিরাম বসু ১৮৮৯ সালের ৩রা ডিসেম্বর তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত মেদিনীপুর জেলা শহরের কাছাকাছি কেশপুর থানার অন্তর্গত মোহবনী (মৌরনি) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ত্রৈলক্যনাথ বসু ছিলেন নাড়াজোল শহরের আয় এজেন্ট। তাঁর মায়ের নাম লক্ষ্মীপ্রিয়া দেবী। তিন কন্যার পর তিনি তাঁর মায়ের চতুর্থ সন্তান। তাঁর মায়ের দুই পুত্র আগেই মৃত্যুবরণ করেন। অপর পুত্রের মৃত্যুর আশঙ্কায় তিনি তখনকার সমাজের নিয়ম অনুযায়ী পুত্রকে তাঁর বড় বোনের কাছে তিনমুঠি খুদের (শস্যের খুদ) বিনিময়ে বিক্রি করে দেন। খুদের বিনিময়ে ক্রয়কৃত বলে শিশুটির নাম পরবর্তীকালে ক্ষুদিরাম রাখা হয়। খুব অল্প বয়সেই ক্ষুদিরাম বসু তাঁর মাতাপিতাকে হারিয়ে পরবর্তিতে তার বড় বোনের কাছেই লালিত পালিত হন।

আসুন সনাতন ঐতিহ্যে জন্মদিন পালন করি, পাশ্চত্য ট্রাডিশনকে বয়কট করি।

Image
হিন্দু ঐতিহ্যবাহী পরিবারগুলোতে ঐতিহ্য ছিল, জন্মদিনে গুরুজনেরা মাথায় ধানদূর্বা দিয়ে আশীর্বাদ করবে, মিষ্টান্ন তৈরি করা হবে ইত্যাদি। এদেশীয় সংস্কার অনুসারে দূর্বাকে অমর বলা হয়। কারণ, দূর্বা যেখানেই পরে সেখান থেকেই নতুনভাবে বংশবৃদ্ধি ঘটায়। এ কারণে জীবনে শতবছর পূর্ণায়ুর জন্যে দূর্বা দিয়ে আশীর্বাদ করা হয়। ধান সমৃদ্ধি এবং অন্নের প্রতীক, তাই আশীর্বাদ করতে দূর্বাঘাসের সাথে মাথায় ধান দেয়া হয় সমৃদ্ধি এবং পূর্ণায়ুর কামনা করে। জন্মদিনে, যার জন্মদিন তার কল্যাণ কামনা করে দেবতাদের ভোগ নিবেদন করা করা হয়, দুধের মিষ্টান্ন তৈরি করে দেয়া হয়। আমাদের স্মৃতিশাস্ত্রে জন্মদিনের কৃত্যাদি বর্ণনা করা আছে। সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, কিভাবে জন্মদিন পালন করতে হবে। দীর্ঘায়ু কামনায় অথর্ববেদে অত্যন্ত সুন্দর একটি প্রার্থনা  রয়েছে।

নাগপঞ্চমী: শ্রী শ্রী মনসা দেবীর ধ্যান মন্ত্র, প্রণাম মন্ত্র, অঞ্জলি পদ্ধতি এবং কালসর্প যোগের শুভদিক জেনে নিন।

Image
  সিনেমাতে আমরা অনেকেই ইচ্ছেধারী নাগ-নাগিনের চরিত্র দেখেছি। আদৌ তেমন কিছু আছে কিনা বিজ্ঞান এখনো আবিষ্কার করতে পারেনি। সনাতন ধর্মের অনুসারীরা জগৎ পরমেশ্বরের শরীর জ্ঞানে জগতের সব কিছুকেই শ্রদ্ধা বা পূজা করেন। নদ-নদী, পাহাড় পর্রবত থেকে শুরু করে বিষধর সাপ পর্যন্ত পূজিত হয় সর্ব প্রচীন এই ধর্মে। সনাতন ধর্মের গ্রন্থগুলোতে আমরা বেশ কিছু সাপের বীরত্বের কথা শুনে থাকি। যেমন: অনন্ত, বাসুকি, শঙ্খ, পদ্মা, কম্বল, কারকোটক, অশ্ব্বর, ধৃতরাষ্ট্র, শঙ্খপালা, কালিয়া, তক্ষক ও পিঙ্গাল ইত্যাদি। এদেরকে নাগপঞ্চমী তিথিতে বিশেষভাবে শ্রী শ্রী মনসা দেবী রূপে পূজা দেয়া হয়। শ্রাবণ মাসের শুক্ল পঞ্চমী তিথিতে নাগ পঞ্চমী। আজ নাগ পঞ্চমী তিথি সম্পর্কে কিছূ চাঞ্চল্যকর তথ্য দিতে চলেছি।