Posts

Showing posts from September 12, 2021

শ্রীগণেশ চতুর্থী তিথির মাহাত্ম্য ও অষ্টশত নাম

Image
'গণ' অর্থ - শ্রেণী, গোষ্ঠী, সম্প্রদায় এবং 'ইশ' অর্থ - প্রভু। শিবগণ ও দেবগণের অধিপতি হওয়ার কারণে তাকে 'গণেশ' বলা হয়। যে কোন দেবতার পূজার শুরুতে, যেকোনো ভালো কাজ এবং আচার -অনুষ্ঠানে, এমনকি সাধারণ কাজেও, ভগবান গণপতিকে স্মরণ করা হয়, যথাযথভাবে পূজা করা হয়।  বৈদিক এবং অনাদিকাল থেকে শ্রীশ্রী গণেশ ঠাকুরের পূজা করা হয়। গণেশজী একজন বৈদিক দেবতা কারণ ঋগ্বেদ-যজুর্বেদ উভয় জায়গায় গণপতিজির মন্ত্রের স্পষ্ট উল্লেখ আছে। শ্রীগণেশ মহাভারতের রচনা-কাজও করেছিলেন। ভগবান বেদ ব্যাস যখন মহাভারত সৃষ্টির কথা ভেবেছিলেন, তখন তিনি এটি লিখতে গিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। ভগবান  ব্রহ্মা তাকে বলেছিলেন যে এই কাজটি শ্রীগণেশের দ্বারা করা উচিত।

শ্রীমদ্ভগবতগীতা : ‘ওম গঙ্গা গীতা চ’ মাহাত্ত্ব্য মন্ত্রের ব্যাখ্যা

Image
ওম গঙ্গা গীতা চ সাবিত্রী সীতা সত্যা পতিব্রতা ব্রহ্মাবলি ব্রহ্মবিদ্যা ত্রিসন্ধ্যা  মুক্তিগেহিনী  অর্ধমাত্রা চিতানন্দা ভবঘ্নী ভ্রান্তিনাশিনী বেদত্রয়ী পরানন্দা ত্বত্তার্থজ্ঞানমঞ্জুরী ।। ভাগবত পুরাণ:   হিন্দু ধর্মের আঠারোটি পুরাণের মধ্যে একটি পূরাণ ভাগবত পুরাণ। এর মূল প্রতিপাদ্য হল ভক্তিযোগ , এখানে কৃষ্ণকে সমস্ত দেবতার ঈশ্বর বা স্বয়ং ভগবান হিসেবে দেখানো হয়েছে। এই পুরাণের লেখক বেদ ব্যাস বলে মনে করা হয়। ভাগবত পুরাণ বৈষ্ণবদের একটি শ্রদ্ধেয় পাঠ্য। শ্রীমদ্ভগবতগীতা ভারতীয় সাহিত্যেও বেশ জনপ্রিয়। মূলত এটি ভগবান শুকদেব মহারাজ কর্তৃক পরীক্ষিতের কাছে বর্ণিত ভক্তিমার্গে থেকে ঈশ্বর প্রাপ্তির উপায়, পরামর্শ  বা দিকনির্দেশনা । এর প্রতিটি শ্লোকে শ্রীকৃষ্ণের প্রতি প্রেমর সুবাস রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন উপাখ্যানের অনুপ্রেরণার একটি চমৎকার সংগ্রহ যার মধ্যে রয়েছে-জ্ঞান, নিখুঁত জ্ঞান, অর্থ-ভক্তি, সিদ্ধ-ভক্তি, মার্যাদ-মার্গ, অনুগ্রহ-মার্গ, দ্বৈততা, অ-দ্বৈততা। শ্রীমদ্ভগবতগীতা পাঠের পর আমরা মাহাত্ব্যপাঠ করে থাকি অনেকেই বলে থাকেন মাহাত্ব্য পাঠ না করলে গীতাপাঠের ফল বা পণ্য লাভ হয় ন...