Posts

Showing posts from July 4, 2021

নমস্কার কেন করা হয়?

Image
'নমস্কার' একটি বৈদিক সম্ভাষণ..... ' নমস্কার ' প্রসঙ্গে আজ আমার একটি ব্যক্তিগত স্মৃতি মনে পড়ছে। কয়েকবছর পূর্বে, সালটি ২০১৪ হবে। আমাদের চট্টগ্রামের এক অত্যন্ত সুপরিচিত দাদার সাথে আন্দরকিল্লা মোড়ে কথা বলছিলাম। তিনি চট্টগ্রামের বিভিন্ন ধর্মসভায় বক্তব্য প্রদান করেন। আমি সেই দাদার সাথে প্রায় ঘন্টাখানেক ছিলাম। সেই দাদাটি একজন ব্যস্ত মানুষ। কিছুক্ষণ পরপরেই তার মোবাইলে কল আসছিল। তিনি মোবাইলে কথা বলছিলেন। বুঝতে পারলাম যে, অধিকাংশ কলই বিভিন্ন ধর্মসভায় অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ। তবে মোবাইলে তার কথা বলার সময়ে একটি বিষয় লক্ষ্য করলাম যে, তিনি কারো সাথে কথা বলার সময় 'হরেকৃষ্ণ' বলে শুরু করছিলেন, অথবা মোবাইলের অপরপক্ষ থেকে হরেকৃষ্ণের উত্তরে তিনিও হরেকৃষ্ণ বলছিলেন। বুঝতে পারলাম যে মোবাইলের অপরপ্রান্তের ব্যক্তি গৌড়ীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের ।  তেমনিভাবে কারো সাথে 'জয় রাম' বলে সম্বোধন করছিলেন। সেই ব্যক্তিরা হয়ত চট্টগ্রাম কৈবল্যধাম আশ্রমের রাম ঠাকুরের শিষ্য হবে। জয় রাম বলতে তারা ভগবান শ্রীরামচন্দ্রকে নয়, তারা রাম ঠাকুরকে বোঝায়। আবার কারো সাথে 'জয় গুরু' বলে সম্বোধন করছিলেন। তা...

স্বামী শ্রীপ্রণবানন্দ মহারাজ এর সংক্ষিপ্ত জীবনী ও ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ

Image
     ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ও অসাম্প্রদায়িক ধর্মীয় সেবা প্রতিষ্ঠান। সনাতন ধর্মের ভিত্তিতে জাতিগঠন এর মুখ্য উদ্দেশ্য। আর জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আৰ্ত্ত, পীড়িত, দুঃস্থ মানুষের সর্বপ্রকার নিঃস্বার্থ সেবাই—এই সঙ্ঘের প্রধান কাজ। গত ২০০ বছরে ভারতীয় উপমহাদেশে অসংখ্য ভন্ড ভগবানের জন্ম হয়েছে। যারা নিজেদেরকে অবতর বলে ঘোষণাও দিয়েছেন। অথচ তারা সমগ্র জীবনে নিজেদের পুটলা গোছাতেই ব্যস্ত ছিল। জাতি তাদের কাছ থেকে বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া কিছুই পাইনি।    এই সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা—অলৌকিক মহাতপঃ শক্তিশালী যুগাচাৰ্য্য শ্রীশ্রীমৎ স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজ । ১৮৯৬ খ্রীষ্টাব্দের ২৯শে জানুয়ারী কলিযুগাদ্যা পুণ্যময়ী মাঘীপূর্ণিমা তিথিতে সাক্ষাৎ শিবের বরে শিবাবতাররূপে এই ক্ষণজন্মা মহাপুরুষের শুভ আবির্ভাব। জন্মস্থান—বর্তমান বাংলাদেশের মাদারীপুর জেলার বাজিতপুর গ্রাম। পিতা—শ্রীবিষ্ণুচরণ ভুইয়া, মাতা—শ্ৰীমতী সারদাদেবী। আজন্ম কঠোর তপস্বী ব্রহ্মচারী বিনোদ (বাল্যনাম)  ১৯১৩ খ্রীষ্টাব্দে গরোক্ষপুরে (উত্তর প্রদেশ) মহাযোগী বাবা গম্ভীরনাথজীর নিকট দীক্ষাগ্রহণ করে কঠোরতর সাধনায় নি...

আরতি তত্ত্ব বা আরতি-মাহাত্ম্য ও আরতির শাস্ত্রীয় বিধি

Image
  আরতি আরতি = আরাত্রিক = নীরাজন । আরতিকে আরাত্রিক বা নীরাজন বলে । আরম্ + ক্তি ভাববাচ্যে = আরতি । “ আ ” অর্থে ব্যাপ্তি ; “ রতি ” অর্থে প্রেম , প্রীতি , ভালবাসা ও অনুরাগ । সুতরাং যে অনুষ্ঠান বা প্রকরণের দ্বারা ইষ্টের বা শ্রীভগবানের   নিজের প্রীতি বৰ্ধিত হয় অর্থাৎ তিনি সাধকের প্রতি প্রসন্ন বা সন্তুষ্ট হন এবং ইষ্টের প্রতিও সাধকের প্রেম , প্রীতি , ভালবাসা ও অনুরাগ বৃদ্ধি পায় , তাহাকে আরতি বলে । সুতরাং আরতি কখনও শুষ্ক অনুষ্ঠান নয় । ইহা অন্তরের গভীর ভাবের জিনিস ।