Posts

Showing posts from August 29, 2021

শ্রীমহিষাসুরমর্দিনী স্তোত্রম্

Image
কবি শ্রীরামকৃষ্ণ বিরচিত, "শ্রীমহিষাসুরমর্দিনী স্তোত্রম্" বঙ্গদেশে শারদীয় দুর্গোৎসব এবং বসন্তকালের বাসন্তী দুর্গোৎসবে একটি হালে অবিচ্ছেদ্য হয়ে গেছে। অপূর্ব ধ্বনিমাধুর্য এবং পদলালিত্য সম্পন্ন সেই স্তোত্রটি হল "শ্রীমহিষাসুরমর্দিনী স্তোত্রম্"। সংস্কৃত শব্দের অপূর্ব  প্রয়োগ হয়েছে স্তোত্রটিতে। বিশ শ্লোকের এ স্তোত্রে প্রত্যেকটি প্রত্যেকটি শ্লোকের শেষপাদে  "জয় জয় হে মহিষাসুরমর্দিনি রম্যকপর্দিনি শৈলসুতে" বাক্যটি ধ্রুবপদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এই দেবীস্তোত্রটি বঙ্গদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় হলেও, অধিকাংশ বাঙালিই এই স্তোত্রটির রচয়িতার নাম জানে না। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। অনেকটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'সোনারতরী' কবিতার মত। যে মহাকালের তরীতে সৃষ্টির স্থান হলেও, সৃষ্টিকর্মের স্রষ্টার স্থানসংকুলান হয় না।

পরম পূজ্যপাদ শ্রীমৎ স্বামী বেদানন্দজী মহারাজের জীবনী

Image
শ্রীভগবান ধৰ্ম্ম সংস্থাপনের জন্য যখন জগতে অবতরণ করেন তখন তার লীলাকার্য্যের সহায়তার জন্য স্বর্গের দেবতারা মর্ত্যে নেমে আসেন। ভগবান যুগাচাৰ্য্য শ্রীমৎ স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজ যখন জগতে অবতীর্ণ হন তখন তার শ্রেষ্ঠ লীলা পার্ষদরূপে যে সমস্ত দেববালক জন্মগ্রহণ করেন তার মধ্যে শ্রীমৎ স্বামী বেদানন্দজী মহারাজ অন্যতম শ্রেষ্ঠ পার্ষদ।

বেদ এবং হরিনাম, বিক্রয় শাস্ত্রে নিষিদ্ধ

Image
ভগবান শ্রীমদ্ভগবদগীতার দশম অধ্যায়ে বিভূতি প্রসঙ্গে বলেছেন, "যজ্ঞানাং জপযজ্ঞোঽস্মি"। অর্থাৎ সকল যজ্ঞের মধ্যে তিনি জপরূপ যজ্ঞ। শাস্ত্রে জপ অত্যন্ত পবিত্র একটি তপস্যা। শ্রীচৈতন্যদেব, শ্রীনিত্যানন্দ, নামদেব সহ অসংখ্য সাধক মহাপুরুষেরা ভগবানের দর্শন পেয়েছেন শুধুই অহর্নিশি ভগবানের শ্রীনাম জপ এবং কীর্তনের মাধ্যমে। শাস্ত্রে হরিনাম যুক্ত বিবিধ শ্লোক দৃষ্ট হয়। তবে এরমধ্যে বর্তমানকালে অত্যন্ত জনপ্রিয় হলো ষোল নাম বত্রিশ অক্ষরের সংস্কৃত ভাষায় লিখিত "হরে কৃষ্ণ" শ্লোকটি। তবে বঙ্গদেশে বর্তমানে শ্লোকটি কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত আকারে পাওয়া যায়। বঙ্গদেশে প্রথম লাইন "হরে রাম" স্থলে  দ্বিতীয় লাইন "হরে কৃষ্ণ" প্রথম লাইন হিসেবে পরিদৃষ্ট হয়।