হিন্দু নির্যাতন: বাংলাদেশ সংখ্যালঘুদের ওপর আবারো হামলা


বাংলাদেশ সংখ্যালঘুদের ওপর যে কোন ঘটনা ঘটলে দুই, এক, দিন মিছিল প্রতিবাদ করে।মিডিয়াতেও অল্প বিস্তর প্রচার হয়। কিন্তু এর কিছু দিন পর সব শেষ। আবার ২০২১সালে কিছু ঘটার অপেক্ষায়। 


বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা থানাধীন  টংভাঙ্গা ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত বাড়াইপাড়া গ্রাম। ওই গ্রামের ধরদী চন্দ্র বর্ম্মণের পরিবারের উপর নৃশংস হামলা চালিয়েছে একই গ্রামের স্থানীয় মোঃ সাহাজ উদ্দিন এবং তার ছেলেরা।

প্রসঙ্গত, ধরদী চন্দ্র বর্ম্মণের পরিবারের ভোগদখলীয় জমির বাঁশঝাড় থেকে প্রতিনিয়ত বাঁশ চুরি! প্রতিবাদ করতে গেলে ভয়ভীতি এবং প্রাণনাশের হুমকি দিতো মোঃ সাহাজ উদ্দিন এবং তার ছেলেরা। এই বাঁশচুরির বিষয়ে কয়েকবার সালিশ বিচারও হয়েছে। তবুও মোঃ সাহাজ উদ্দিন এবং তার ছেলেদের এই চুরির দৌরাত্ম বন্ধ হয়নি। 



গত কয়েকমাস আগে আবার ২৪টি বাঁশ চুরির ঘটনা ঘটলে (যার আনুমানিক মূল্য ৪৮০০ টাকা) ধরদী চন্দ্র বর্ম্মণ থানায় অভিযোগ করেন এবং পুলিশের সহযোগীয় চুরি যাওয়া বাঁশগুলো উদ্ধার করে একই গ্রামের ইউনুস আলীর জিম্মায় বিবাদ মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত  জমা রাখে। কিন্তু এই বিবাদ মিমাংসা ইস্যুতে আসামি মোঃ সাহাজ উদ্দিন এবং তার ছেলেরা নানারকম তালবাহানা এবং কালক্ষেপণ করতে থাকে। 

এই অবস্থায় গত ২৯ শে ডিসেম্বর সকাল আনুমানিক ৮ টায়  সাহাজ উদ্দিন এবং তার ছেলেরা আবারো দা, কুড়াল নিয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে বাঁশ কাটতে গেলে তাতে ধরদী চন্দ্র বর্ম্মণের পুত্র সাগর চন্দ্র বর্ম্মণ বাধা দিতে গেলে তাকে সাহাজ উদ্দিন এবং তার ছেলেরা তাদের বাড়িতে নিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে এবং মাথায় আঘাত সহ গুরুতর জখম করে।




এমতাবস্থায় সাগর চিৎকার চেঁচামেচি করলে ধরদী চন্দ্র বর্ম্মণ, তাঁর স্ত্রী জোছনা রানী এবং পুত্রবধূ সহ পরিবারের সকল সদস্য সাহাজ উদ্দিনের বাড়িতে ছুটে গেলে সাহাজ উদ্দিনের নির্দেশে তার ছেলেরা ধরদী চন্দ্র বর্ম্মণের পরিবারের মহিলা সহ সকলকেই পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। পরবর্তীতে পাড়া প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আহতদের হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে দেয়। এই ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন ধরদী চন্দ্র বর্ম্মণ। বর্তমানে দুইজন নারী সহ তিন জন হসপিটালে ভর্তি রয়েছে।


এই বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।


আরো পড়ুন:

Comments

Populer Post

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের, প্রবন্ধে সেকালের বাবুচরিত্র

‘সাগুদানা’ একাদশীতে খাবেন? না খাবেন না?

রাজা শান্তনু, সত্যবতী এবং ঋষি পরাশরের অবস্থা মহাভারতের প্রকৃতি বদলে দিয়েছে ।

উপবীত বা পৈতার মাহাত্ম্য , উপবীত বা পৈতা কাহাকে বলে?

বৃন্দাবন ত্যাগ করে চিরতরে মথুরায় গমনকালে শ্রীকৃষ্ণের বয়স কত ছিল- শাস্ত্রীয় রেফারেন্স

বাড়িতে শ্রী গণেশ ঠাকুরের প্রতিস্থাপন এবং কীভাবে বির্সজন করবেন, জেনে নিন সহজ পদ্ধতি