শ্রী পঞ্চমীতে কি হাতে খড়ি বা বিদ্যারম্ভ হওয়া কি উচিত?
শ্রী পঞ্চমীতে হাতে খড়ি বা বিদ্যারম্ভের একটি প্রচলন আমরা দেখে থাকি।
আসুন দেখি এবিষয়ে শাস্ত্র কি বলে
অনধ্যায় তিথিরিয়ম্ "(শ্রীদত্তধৃতম্) সূতি
অর্থাৎ শ্রীপঞ্চমীতে অধ্যায়ণ করিবে না।
শ্রী পঞ্চম্যাং লিখেন্নৈব ন স্বাধ্যায়নং কদাচন।
বাণীকোপমবাপ্নোতি লিখনে পঠনেহপি চ।
শ্রীপঞ্চমীতে লিখিবে না, পড়িবে না ;
।"সরস্বতী পুজার দিন লেখা পড়া নিষেধ...... ওইদিন হাতে খড়ি টা সম্পূর্ন অশান্ত্রীয় ৷ হাতে খড়ি অন্য দিন আছে তাকে বলে বিদ্যারম্ভ বলে সেটি সনাতন ধর্মের দশবিধ সংস্কারের একটি সংস্কার ৷ বিদ্যারম্ভের দিন আলাদা ভাবে পঞ্জিকায় লেখা থাকে, বাণী বন্দনার দিন বিদ্যারম্ভ করা সম্পুর্ণ অশাস্ত্রীয়।
আমরা দেখি বা দেখে আসছি যে সরস্বতীপূজোর দিন আমরা অনেকেই হাতে খড়ি করিয়ে থাকি। তবে এই নিয়মটি সম্পূর্ণ ভুল একটি প্রচলিত প্রথা।
বলা হচ্ছে,
"পঞ্চম্যাং পূজয়েল্লক্ষ্মীং পুষ্পধূপান্নবারিভিঃ।
মস্যাধারং লেখনীঞ্চ পূজয়েন্ন লিখেত্ততঃ।।"
অর্থাৎ, মাঘ মাসের শুক্লা শ্রীপঞ্চমীতে পুষ্প-ধূপ-অন্ন-জলাধার দ্বারা দেবী লক্ষ্মী সহ মস্যাধার-লেখনীর পূজা করিবে। তথাপি লিখিবে না। এখানে "পূজয়েন্ন লিখেত্ততঃ" এটির অর্থাৎ পূজা করবে কিন্তু লিখিবে না।
অর্থাৎ হাতেখড়ি সরস্বতীপূজার দিন বা শ্রীপঞ্চমীতে নিষিদ্ধ।
Comments
Post a Comment