মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কেন ইহুদীদের এত প্রভাব?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা প্রায় ৩৪ কোটির মতো। আর সেখানে প্রায় ৭০ লক্ষ ইহুদি বাস করে। আমি হঠাৎ করে গ্রুপে এসব কথা বলছি কেন? কেন বলছি তার জন্য পুরো লেখাটা পড়তে হবে।
সারা বিশ্বে একটি কথা প্রচলিত আছে যে আমেরিকা ইহুদিদের কথায় উঠে বসে। এটা অবশ্য পুরোপুরি সত্য নয়। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও রাজনীতিতে ইহুদিদের অনেক বড় প্রভাব রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ইহুদিরা বেশিরভাগই একেকজন ধনকুবের।
কথিত আছে, প্রয়োজনে তারা হোয়াইট হাউজকে টাকা ধার দেয়। অতি সংগত কারণেই ইহুদিরা সংখ্যায় কম হয়েও প্রভাব বিস্তারে ভূমিকা রাখছে। এর কারণ অবশ্যই ইহুদিদের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা এবং ধনসম্পদের প্রাচুর্য। একজন দরিদ্র লোককে সবাই কেবল করুণা করবে, তার কথা শুনতে চাইবে না বা তার অধিকার নিয়ে কেউ ভাববে না। কিন্তু ধনী বা স্বাবলম্বীকে নিজেদের প্রয়োজনেই মূল্য দেবে।
এখন আমরা সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অনেক দিক থেকেই পিছিয়ে আছি। নিজেদের মধ্যে একতা কম। ক্রমশ কোনঠাসা হয়েই যাচ্ছি। আগে শিক্ষা দীক্ষা ধন সম্পদ সব দিকেই এগিয়ে ছিল সনাতনরা।
আমাদের বর্তমান অবস্থার জন্য অবশ্যই আমরা দায়ী কম নই৷ অপমানের প্রতিবাদ করি না, সব মুখ বুঝে সয়ে যাই৷ তবে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে মানুষ প্রতিরোধ গড়তে বাধ্য হয়। কিন্তু এতজন দুষ্কৃতিকারীর বিরুদ্ধে গুটিকয়জন দাঁড়াতে পারবে না। তাই প্রথম কথাই হচ্ছে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
খুব মন দিয়ে শুনুন,
১। যতটুকু সম্ভব নিজের প্রতিষ্ঠানে হিন্দু কর্মী, কর্মকর্তা নিন। ওরা এটা সগৌরবে ঘোষণা দিয়েই করে৷ অনেক ব্যাংক আছে প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে হিন্দুরা চাকরি করতে পারে না।
২। হিন্দু স্টুডেন্টদের ভালো পড়াশোনা নিশ্চিত করতে হবে৷ শিক্ষার বিকল্প নেই। যার যতটুকু সামর্থ্য তা দিয়ে স্টুডেন্টদের হেল্প করতে হবে। কেউ গাইডলাইন দিবেন, যাদের আর্থিক সক্ষমতা কম তাদের আর্থিক সাহায্য দেবেন, যারা শিক্ষাক্ষেত্র থেকে ঝরে যাচ্ছে তাদের ঝরতে দেয়া যাবে না।
৩। হিন্দু ব্যবসায়িদের থেকে পণ্য ক্রয়। এদিক থেকে আমরা কিছু সমস্যায় পড়ি। যেমন গুটিকয়েক হিন্দু বিক্রেতা প্রফেশনাল না, ক্রেতার সুবিধা ঠিকঠাক দেখতে পারেন না। তাতে করে ক্রেতারা অন্য বিক্রেতার দিকে ঝুঁকে যান।
৪। একজন হিন্দু হয়ে আরেকজন হিন্দুর পাশে থাকা। প্রতিবেশিকে জব্দ বা সম্পত্তির সুবিধার জন্য দেখা যায় হিন্দুর সাথে শত্রুতা করে অন্য ধর্মালম্বীর সাথে আঁতাত করে বিভিন্ন অসুবিধা সৃষ্টি করে। এসব থেকে দূরে থাকা।
সর্বোপরি একতা না থাকলে এভাবেই মার খেয়ে যেতে হবে।
আমেরিকা মহাদেশে অবস্থিত পঞ্চাশটি অঙ্গরাজ্য, একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় জেলা ও পাঁচটি স্বশাসিত অঞ্চল নিয়ে গঠিত যুক্তরাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র। এই দেশটি "আমেরিকা" নামেও পরিচিত। উত্তর আমেরিকা মহাদেশের মধ্যভাগে অবস্থিত আটচল্লিশটি রাজ্য ও রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি অঞ্চলসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডটি পশ্চিমে প্রশান্ত ও পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগরদ্বয়ের মধ্যস্থলে অবস্থিত; এই অঞ্চলের উত্তরে কানাডা ও দক্ষিণে মেক্সিকো।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যটি উত্তর আমেরিকা মহাদেশের উত্তর-পশ্চিম কোণে অবস্থিত; আলাস্কার পূর্ব সীমান্তে কানাডা ও পশ্চিমে বেরিং প্রণালী পেরিয়ে রাশিয়া অবস্থিত। হাওয়াই অঙ্গরাজ্যটি মধ্য-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থিত একটি দ্বীপপুঞ্জ। এছাড়াও ক্যারিবীয় সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরে পাাঁচটি অঞ্চল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধীন।
আরো পড়ুন:
পরম পূজ্যপাদ শ্রীমৎ স্বামী বিজ্ঞানানন্দজী মহারাজের সংক্ষিপ্ত জীবনী
পূজ্যপাদ শ্রীমৎ স্বামী অদ্বৈতানন্দজী মহারাজের সংক্ষিপ্ত জীবনী
Comments
Post a Comment