স্বাধীনতা যুদ্ধে অশ্বিনী কুমার দত্ত এর আত্মত্যাগ।

যে হিন্দু মহল্লাটায় ঢুকেছি, এখানকার সবগুলো বাড়িতে যাওয়ার সুযোগ পেলাম না। সন্ধ্যার পর কেউ আর দরজা-ই খুলতে চাইছে না। বিদ্যুৎ সংযোগবিহীন হি ন্দু এলাকায়, গভীর অন্ধকার নেমে এলো। অনেকের বাড়িতেই বাতি নেই। হয়তো অনেকেরই কেরোসিন কেনার মতো পয়সা নেই।

  আমি আশাবাদী ছিলাম - হিন্দু মহল্লায় কেউ না কেউ তাদের বাড়িতে হয়তো আমাকে রাতে থাকতে দেবে। কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য! নানা অজুহাতে প্রত‍্যেকেই আমাকে ফিরিয়ে দিলো। একজন এমন কথাও বললো, "টাহা ধরাইয়া দিয়া ঘরে আইয়া ওডবেন, আর রাইতে মোগো খুন হরবেন! লাগবে না আপনার টাহা, লইয়া যান..."



যে পথ ধরে এসেছি, সেই পথ ধরে ট্রলার ঘাটের দিকে ফিরতে লাগলাম। ট্রলারে বাসস্ট্যান্ড যাব। তারপর বাস-রিক্সা যা পাই, তাতে চেপে উপজেলা সদরে গিয়ে আবাসিক হোটেল খুঁজবো।

ট্রলার ঘাটে গিয়ে শুনি, জ্যোৎস্না রাত হলে মাঝে মাঝে দু'-একটা ট্রলার ছাড়ে; এই অন্ধকার রাতে কোন ট্রলার ছাড়বে না, আরও দিনকাল ভালো না। আমি স্থানীয় নই শুনে এক লোক বলে, "এই জাগাডা কোলম সাংঘাতিক খারাপ..."

পাশ থেকে এক যুবক বলে, "ভাই, মোগো বাড়থে(বাড়িতে) ল'ন..."। যুবকের মুখে হালকা দাড়ি, গোঁফ কামানো। এই যুবকের সঙ্গে যাওয়া ভিন্ন আমার গত্যন্তর নেই। তবুও সৌজন্যের খাতিরে একটু ইতস্তত করে, তার সঙ্গে হাঁটতে শুরু করলাম।
 
যুবকের নাম হান্নান। সে ঘরজামাই থাকে। হান্নানের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখি অনেকগুলো ঘর, অনেকগুলো উঠান। হান্নান তার শশুরকে বলে, "আব্বা মেহমান লইয়া আইলাম। ট্রলার ঘাডে দ‍্যখলাম উনি বিপদে পড়ছে। বিদেশী মানু। একজন মোসল মান বিপদে পড়ছে, ক‍্যমনে থুইয়া আই! বাড়থে লইয়া আইলাম।"

"ভালো হরছো জামাই। খুব খুশী হইছি। একজন মোমিন মোসলমা নের যা করা উচিত, তুমি হেইডাই হরছো।"

হান্নানের শশুর ও সম্বন্ধী আমার সঙ্গে আলাপ জমিয়ে সঙ্গ দেয়। মেহমান এসেছে শুনে, আশপাশের ঘরের মুরুব্বীরা এসে আমার সঙ্গে আলাপ করে। একজন হান্নানের শশুরকে বলে, "ন‍্যাভাই, মেহমান তো আইছে, আফনের ঘরে রাওয়া(মোরগ) আছে তো? না কী যাইয়া মোগো ঘরে গোনে পাডাইয়া দিমু?"

"মেহমানের খালি সালুন দিয়া ভাত খাওয়ামু হানে... হে হে হে।"

 সুগন্ধি-মশলা যুক্ত রান্নার গন্ধ নাকে আসে।

"মেঞা ছাবের দেশের বাড়ি কোম্মে?"

"বেতাগী।"

"হেইডা কী পউড্ডাখালী(পটুয়াখালী)?"

"না। বরগুনা ডিস্ট্রিক্ট।"

" বিয়া-শাদী তো হরছেন মনে কয়।"

"জ্বে আল্লাহর হুকুমে।"

"গুড়াগাড়া(বাচ্চা) কয়জন?"

"আল্লায় দিছে চাউরগা।"

এ জায়গায় এসে কিভাবে আটকে গেলাম, সে কথা তারা জানতে চায়। বললাম, একজন ঘনিষ্ঠ দোকানদার বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল, সেখান থেকে বের হতে দেরী হয়ে যায়।

প্রসঙ্গের পর প্রসঙ্গ আসে, আমিও মিথ্যার ফুলঝুরি ছড়াতে থাকি। একটা বড় টেবিল এনে কারুকাজ করা চীনেমাটির পাত্র সাজাতে দেখে ভদ্রতার খাতিরে বলি, "মুই কোলম হাঁজের(সন্ধ্যার) কালে খাইয়া লইছি, প‍্যাডে জাগা নাই..."

"না কইলে হইবে! আফনের ফান্নে রাওয়া জবাই হরলাম..."

একরকম জোর করে তারা আমাকে খেতে বসায়। রান্না যথেষ্ট সুস্বাদু। সুবিশাল টিনের ঘরের স্বতন্ত্র একটা কক্ষে, উন্নত মানের বিছানায় আমাকে শুতে দেওয়া হয়। শুয়ে শুয়ে ভাবছি, স্বজাতিকে সাহায্য করার জন্য এত ঝুঁকি নিয়ে এই বিপদসঙ্কুল এলাকায় এলাম; আর স্বজাতি আমাকে একটু আশ্রয় দিলো না। 'অতিথি নারায়ণ' - এটা কেবল শাস্ত্রের কথা - কিন্তু এই সুন্দর শাস্ত্র-বাক্যটি বাস্তবে আমরা কতটা প্রয়োগ করে থাকি! ভিন্ন ধর্মের এই পরিবারটিকে তো আমি কোন টাকা দেইনি; অথচ তারা আমাকে স্বজাতি ভেবে কত খাতির-যত্ন করছে! এখানেই হি ন্দু আর মুসলমা নের মধ্যে পার্থক্য। তারা নিজের জাত-ভাইকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়, যেখানে আমরা স্বজাতিকে সবচেয়ে বেশী অবহেলা করি।
আমরা কেবল প্রতিবেশী সমাজের খারাপ দিকগুলোর দিকেই তাকাই, তাদের যে অনেক ভালো দিকও রয়েছে, তা থেকে কোন শিক্ষা নেই না। যদি শিক্ষা নিতে পারতাম, তাহলে বাংলাদেশে আমাদের সংখ্যা এভাবে দিনকেদিন কমে যেত না।

শেষ রাতে দরজায় করাঘাত, "মেঞা ছাব, নামাজ পড়বেন না?"

আমি কোনো শব্দই করলাম না। নামাজের সময় শেষ হলে, উঠে বিদায় নিতে চাইলাম। হান্নান বললো, "নাস্তা রেডি হরতে আছে..."

হান্নানের তিনটি ছেলে-মেয়ে; তাদের প্রত্যেকের জন্য এক হাজার করে টাকা এবং আমার ব্যাগ থেকে প্রসাধন সামগ্রীর প্রতিটি স‍্যাম্পেল হান্নানের হাতে তুলে দিয়ে বললাম, "আমাগো কোম্পানির এই প্রোডাক্ট গুলাইন আফনেরা ব্যবহার করইয়া দ‍্যাখফেন, ক‍্যমন কোয়ালিটি... আফনেগো ধারে ঋণী হইয়া রইলাম, বিশেষ করইয়া আফনের ধারে। ... ভাবীরে, খালাম্মাগো কষ্ট দেলাম..."

পর্দার আড়াল থেকে হান্নানের স্ত্রী, তার স্বামীর উদ্দেশ্যে বলে, "মেহমানেরে কইয়া দ‍্যন, এইদিগে আবার যহন আওয়া পরবে, মোগো বাড়থে যেন বেড়াইতে আয়।"

নতুন যে এলাকায় ঘুরছি, এখানকার হি ন্দুরা যথেষ্ট কালচার্ড। তাদের ঘরের প্রায় সমস্ত কিছুই লুট হয়ে গেছে, তবুও তারা এ বাড়ি সে বাড়ি থেকে কাপ সংগ্রহ করে এনে - ছাগলের দুধ খেতে দেয়, কেউ চা বানিয়ে আনে; চায়ের সাথে কিছু না দিতে পারার জন্য মনোবেদনা প্রকাশ করে। কেউ গাছের ফল ছিঁড়ে আনে। কোন কোন পরিবার এত দরিদ্র, তাদের দেওয়া খাবার খেতে বিবেকে বাধে; আবার ভাবি- এত আন্তরিকতার সাথে দিয়েছে, যদি না খাই মনে কষ্ট পাবে।

এক বৃদ্ধা ভদ্রমহিলা বললো, তার চলতে কষ্ট হচ্ছে ঠিকই, তাই বলে সে অন্যের কাছ থেকে সাহায্য গ্রহণ করবে না। তার আত্মমর্যাদাবোধ-এর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বললাম, "আপনাদের এলাকায় এত হি ন্দুর বসবাস। শক্তসমর্থ পুরুষরা কেন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেল! সংঘবদ্ধভাবে কেন ধর্ষকামী লুটেরাদের প্রতিহত করতে পারলো না?"

বৃদ্ধা ভদ্রমহিলা জানালো, স্থানীয় হি ন্দুদের মধ্যে ভয়ানক অন্তঃকলহ; কারো সঙ্গে কারও সুসম্পর্ক নেই। এক পরিবারের সঙ্গে অপর পরিবারের মামলা-মোকদ্দমা লেগেই আছে; তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি, মারামারি নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার। প্রতিটি হি ন্দু বাড়িতে ভাইয়ে ভাইয়ে পর্যন্ত ঘোরতর শত্রুতা।

 রাষ্ট্রীয় বৈষম্যমূলক অর্পিত সম্পত্তি(শত্রু সম্পত্তি) আইনের কালো থাবায় এমনিতেই হি ন্দু-সম্পত্তি অখাদ্য হয়ে যাচ্ছে; তার মধ্যে অধিকাংশ হি ন্দু-ই, পৈতৃক সম্পত্তি আপসে ভাগ করে খেতে জানেনা; শক্তিমান ভাই ছলে-বলে-কৌশলে কেড়ে খায় দুর্বল ভাইয়ের সম্পত্তি; দুর্বল ভাই বাধ্য হয় খাল কেটে কুমির আনতে।

বেলা থাকতে থাকতে উপজেলা সদরে গিয়ে পৌঁছালাম। আবাসিক হোটেল একটা খুঁজে পেলাম ঠিকই, তবে রুম যেরকম নোংরা, তার চেয়েও নোংরা বিছানা। কমন টয়লেটের যা জঘন্য অবস্থা- সেটা এখানে নাই বা বললাম। 
অবশ্য এর চেয়েও অনেক অনেক বেশী নোংরা পরিবেশে আমি দিনের-পর-দিন মাসের-পর-মাস বসবাস করেছি। কিন্তু বিগত দিনগুলোর আয়েশি জীবন যাপন, আমার সেই দুর্বিষহ অতীতের কথা যেন ভুলিয়ে দিয়েছে।




উপজেলা সদরের একটা বড় কসমেটিকের দোকানে গিয়ে স‍্যাম্পল বের করলাম। দোকানদার ঝাঁঝালো কন্ঠে বলে, "বিরক্ত হরইয়েন না তো ভাই! আপনার নাহান এইরহম পচা কোম্পানির মাল লইয়া রিপ্রেজেন্টেটিভরা হাইঙ্গোডা দিন খালি জ্বালাইয়া খায়। ফোডেন(ভাগেন) দেহি মেঞা।"

দোকানের একজন খরিদ্দার পাশ থেকে আমাকে বলে, "দেহি ভাই, আফনের মালের স্যাম্পেলডা।" এরপর সে দোকানদারের উদ্দেশ্যে বলে, "টিভিতে ... (চলচ্চিত্রাভিনেত্রী) এডভ‍্যটাইজ দেয়। হেদনা(সেদিন) মোর পরিবার(স্ত্রী) কইলো, দেইখ‍্যেন দেহি মালডা মোগো বাজারে আইছে কিনা।"

একটা বাজারের চায়ের দোকানে অশ্বিনী কুমার দত্ত সম্পর্কে আলোচনা হচ্ছে। যে ব্যক্তি দক্ষিণবঙ্গে সর্বপ্রথম শিক্ষার আলো বিতরণ করেছেন, তার সম্পর্কে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ-প্রসূত মনগড়া কিছু মন্তব্য শুনে হতবাক হয়ে গেলাম! 

তাদের ভাষ্য - অশ্বিনী বাবু ইসলা মী শিক্ষার বিস্তার ঠেকাতে স্কুল-কলেজ স্থাপন করেছিলেন... ভারতে টাকা পাচার করেছেন... ইত্যাদি উদ্ভট কাল্পনিক অভিযোগ। প্রতিবাদ যে হচ্ছে না, তা নয়। তবে প্রতিবাদকারীদের কন্ঠ খুবই ক্ষীণ।

অশ্বিনীকুমার দত্ত (২৫শে জানুয়ারি, ১৮৫৬-৭ই নভেম্বর, ১৯২৩) ছিলেন একজন বাঙালি রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক এবং লেখক।

যাই, গিয়ে অশ্বিনী কুমার দত্তের বাড়িটা দেখে আসি। আমি জানি তার বাড়ি বাটাজোর গ্রামে। একজন পরামর্শ দিলো, বাসে উঠে বাটাজোর স্টেশনে গিয়ে নামতে। বাসে ভিড় দেখে রিক্সা ভাড়া নিলাম।

কিন্তু বাটাজোর গিয়ে তো আমার চক্ষু চড়কগাছ; কেউ অশ্বিনী কুমার দত্তের বাড়ি চেনে না। এক লোক একটা বাড়ির কথা বললো। গিয়ে দেখলাম, অভিজাত একটা বাড়ি। প্রবেশ পথে এক মধ্যবয়স্কা ভদ্রমহিলাকে দেখে জিজ্ঞেস করলাম, "এইডা কী অশ্বিনী বাবুর বাড়ি?"

"অশ্বিনী বাবুর এক জ্ঞাতির বাড়ি আছেলো। মোরা এই বাড়ি পয়সা দিয়া কিনছি... আফনে কোম্মে গোনে আইছেন?"

"ঢাহা(ঢাকা)।"

"অশ্বিনী বাবুর কী কোনো আত্মীয়-স্বজন কিছু হয়েন?"

"না।"

"এত দূরে গোনে আইছেন, বাড়ির মইধ্যে ল'ন। একটু চা-পানি খা'ন, হেইয়ার পর কথা কই।"

"আপনারে ধন্যবাদ। বাড়ির মইধ্যে যামু না। ওনার বাড়িডা কোন জাগায় যদি জানেন, কয়েন।"

মধ্যবয়স্কা ভদ্রমহিলা আশপাশে তাকিয়ে জানালো, অশ্বিনী বাবুর বাড়িটি জনৈক শিকদার সাহেবের মৎস্য খামার। শিকদার সাহেব সম্পর্কে এই মধ্যবয়স্কার ভাশুর। শিকদার সাহেব যথেষ্ঠ প্রভাবশালী ও হিংস্র প্রতিকৃতির লোক। ভদ্রমহিলা আমাকে পরামর্শ দিলো, আমি যেন এভাবে জনে জনে সবার কাছে অশ্বিনী বাবুর বাড়ির ঠিকানা জিজ্ঞাসা না করি।

 এ কথা যদি শিকদার সাহেবের কানে যায়, সে মনে করতে পারে - আমি অশ্বিনী বাবুর কোন আত্মীয়-স্বজন, বাড়ি উদ্ধার করতে এসেছি। সেক্ষেত্রে ভদ্রমহিলার অনুমান, শিকদার সাহেব আমাকে খুন পর্যন্ত করে ফেলতে পারে। মধ্যবয়স্কা ভদ্রমহিলা সর্বশেষে বললো, "একান্ত যদি দ‍্যখতেই চায়েন, মাইনষের ধারে জিগাইবেন, শিকদার সাইবের মৎস্য খামার কোন দিগে? দেহাইয়া দেবে।"

অশ্বিনী কুমার দত্তের ভিটে-বাড়ির কোন চিহ্ন-ই খুঁজে পেলাম না। মৎস্য চাষের উপযোগী করে তুলতে- পুরো বাড়িটাকেই যেন গণধর্ষণ করা হয়েছে। শুধুমাত্র ধর্মবিশ্বাসগত কারণে, এই জাতি ভিন্নধর্মের আলোর দিশারীদের অবদান মুছে দেয়; যাতে তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম- ভিন্ন ধর্মের আলোকিত ব্যক্তিগণের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না পড়ে। 

এদের ধর্মীয় দৃষ্টিতে - ভিন্ন ধর্মের মানুষ যত বড় মহান-ই হোক, সেই লোক তাদের নিজস্ব ধর্মের নি কৃষ্টতম মানুষটির চেয়েও অধম। এজন্যই অশ্বিনী কুমার দত্তের বরিশাল শহরের বাড়িটি দখল করে বানানো হয়েছে 'বরিশাল কলেজ'। যে কলেজে অশ্বিনী কুমার দত্তের কোন নাম-চিহ্ন অবশিষ্ট রাখা হয়নি। বরিশাল কলেজের একটি ভবনের নাম-ও কী অশ্বিনী বাবুর নামে নামকরণ করে সৌজন্য প্রদর্শন করা যেত না!

বরিশাল শহরের সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের একদল মানুষ, অশ্বিনী কুমার দত্ত প্রতিষ্ঠিত টাউনহলের নামফলক থেকে, অশ্বিনী বাবুর নাম মুছে ফেলার দাবীতে আন্দোলনে নেমেছে। অথচ অশ্বিনী কুমার দত্ত, হিন্দু-মুসলমা ন মৈত্রী প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আজীবন নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। 

জীবনের যা কিছু সঞ্চয়, শিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশ্যে দান করে গেছেন। বরিশালের প্রতি ভালোবাসা থেকে বলেছিলেন ‘মরার পর যেন আবার জন্মগ্রহণ করি এই বরিশালের মাটিতে।’ সেই বরিশালের মাটি থেকে অশ্বিনী কুমার দত্তের নাম নিশানা মুছে ফেলার সুগভীর ষড়যন্ত্র চলছে। হায়রে অকৃতজ্ঞ জাতি! 


অশ্বিনী কুমার দত্তের অবদান

  • ১৮৮৪-তে 'ব্রজমোহন স্কুল' প্রতিষ্ঠা করেন।
  • ১৮৮৬-তে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রামের জন্য 'পিপলস্‌ অ্যাসোসিয়েশন' স্থাপন করেন।
  • ১৮৮৭-তে তার প্রচেষ্টায় বরিশাল ডিস্ট্রিক্ট বোর্ড স্থাপিত হয়।
  • ১৮৮৭-তে নারী শিক্ষা প্রসারের জন্য 'বাখরগঞ্জ হিতৈষিণী সভা' এবং একটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
  • ১৮৮৯ ব্রজমোহন কলেজ স্থাপন করেন।
  • অশ্বিনী ভবন ভেঙ্গে ফেলার পর নাইট কলেজ তৈরি করা হয় যা পরে বর্তমান বরিশাল কলেজ নাম দেয়া হয়।

(সংগৃহীত, লেখকঃ কৃত্তিবাস কাশীরাম)

আরো পড়ুন:


Comments

Populer Post

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের, প্রবন্ধে সেকালের বাবুচরিত্র

‘সাগুদানা’ একাদশীতে খাবেন? না খাবেন না?

রাজা শান্তনু, সত্যবতী এবং ঋষি পরাশরের অবস্থা মহাভারতের প্রকৃতি বদলে দিয়েছে ।

উপবীত বা পৈতার মাহাত্ম্য , উপবীত বা পৈতা কাহাকে বলে?

বৃন্দাবন ত্যাগ করে চিরতরে মথুরায় গমনকালে শ্রীকৃষ্ণের বয়স কত ছিল- শাস্ত্রীয় রেফারেন্স

বাড়িতে শ্রী গণেশ ঠাকুরের প্রতিস্থাপন এবং কীভাবে বির্সজন করবেন, জেনে নিন সহজ পদ্ধতি