নাবালক কিশোরকে ধর্মান্তর করে জঙ্গিবাদের প্রশিক্ষণ।
ধর্মান্তরের ঘটনা আমরা বাংলাদেশে প্রায় শুনে থাকি। তবে ধর্মান্তর স্ব ইচ্ছায় ঘটেছে এমন নজির নেই। কখনো প্রেম জনিত কারণ ,কখনো ব্রেণ ওয়াশের স্বীকার হয়ে ধর্মান্তরিত হতে বেশী দেখা যায়। ছবিতে ছোট ছেলেটির নাম মিন্টু রায় বয়স বর্তমানে ১৬ বছর। পাশে তার হতভাগ্য পিতা মুকুল রায়। আজ থেকে ২ বছর ৬ মাস আগে নিখোঁজ হয়। তার দরিদ্র পিতা হন্যে হয়ে খুজতে থাকেন।
অতপর জানতে পারেন একটি জঙ্গী চক্র ছেলেটিকে ফুসলিয়ে কলেমা পড়িয়ে ও ভুয়া জন্ম সনদ তৈরী করে সাবালক দেখিয়ে ধর্মান্তরের এভিডেভিড তৈরী করে মুসলিম ধর্ম ধর্মান্তরিত করে নোয়াখালী চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন স্থানে রেখে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলো।
গত সপ্তাহে ছেলেটিকে নারায়ণগঞ্জ এলাকায় নিয়ে আসে জঙ্গী চক্র। ছেলেটির পিতা হিন্দু মহাজোটের শরনাপন্ন হলে হিন্দু মহাজোট নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ প্রশাসন এর সহযোগিতায় আজ সারাদিন বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ছেলেটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন। জঙ্গীচক্রের একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ভিকটিম নাবালক ছেলেটিকে তার পিতার জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
উদ্ধার কাজে সার্বিক সহযোগিতা করেন হিন্দু মহাজোট এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব তপন ধর, হিন্দু আইনজীবী মহাজোট নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সাংগঠণিক সম্পাদক অ্যাডঃ প্রদীপ কুমার মন্ডল, মোঃ তোবারক আলী, মোঃ সজিব ভাই, হিন্দু স্বেচ্ছাসেবক মহাজোট কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সভাপতি পরেশ চৌধুরী সহ স্বেচ্ছাসেবক টীমের সদস্যগণ।
ভিকটিমের পিতা মুকুল রায় দীর্ঘ আড়াই বছর পর ছেলেকে ফিরে পেয়ে উদ্ধার কাজে সহযোগিতার জন্য পুলিশ প্রশাসন সহ সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন, সকলের আর্শিবাদ প্রার্থনা করেছেন।
এখন চিন্তার বিষয় হল এই চক্রের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য কী?
আমি মাত্র দুটি বিষয় নিয়ে কথা বলব...
প্রথমত ছেলেটা নাবালক সংবিধানের নির্দেশ অনুযায়ী একজন নাবালক কখন স্ব ইচ্ছায় ধর্ম পরিবর্তন করতে পারে না।
দ্বিতীয়ত, মিন্টুর বয়স এফিডিবিট করে বাড়ানো হয়েছে।
বিষয় দুটো এতোটুকু পরিস্কার করে দেয় এই চক্র প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কর্মী দ্বারা পরিচালিত এবং এদের পিছনে মোটা অংকের অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে।
কোথা থেকে পাচ্ছে তারা প্রশিক্ষণ ও অর্থ? নিশ্চয় যেসকল মানুষ এই জঘন্য কর্মের সাথে লিপ্ত তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এবং বিত্তবান মুসলিম দেশগুলোর দিকে আঙুল তুলবেন।
হ্যাঁ এটায় বাস্তবতা বন্ধুরা। এদেশে মাদ্রাসাগুলো থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার জিহাদী বের হচ্ছে তারা মধ্যপ্রাচ্যের পাঠানো অর্থে জুব্বা পরে ঘোরে, খায়-দ্বায় আর ধর্মের আড়ালে এই কাজ গুলো করে।
তথ্য ও ছবি: গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক দাদার ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহিত।
আরো পড়ুন:
Comments
Post a Comment