চরিত্র গঠন কেন গুরুত্বপূর্ণ ?

পৃথিবীর সকল সম্পদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ সম্পদ হল চরিত্র। চরিত্র অমূল্য সম্পদ। সব সম্পদ চলে গেলেও যদি চরিত্র সম্পদ থাকে তবে কোন সম্পদের হানি হয় না। একমাত্র চরিত্র সম্পদ দ্বারা মানুষ সব সম্পদ ফেরত পেতে পারে। আর চরিত্র সম্পদ নষ্ট হলে সব সম্পদ নষ্ট হয়ে যায়।

একজন শিক্ষার্থীর সবচেয়ে যে জিনিষটির প্রয়োজন তা হল তার চরিত্র। কারণ বিদ্যাশিক্ষা অর্থই হল চরিত্র গঠন। যার চরিত্র গঠনে চেস্টা নেই তার সেই শিক্ষা দিয়ে নিজের বা অপরের কোন কল্যাণ হয় না। চরিত্র বলই হল শিক্ষাবল। একজন ছাত্র যতই প্রথম বিভাগে নম্বর নিয়ে সকল পরীক্ষায় পাশ করুক না কেন যদি তার চরিত্র কলুষিত হয় তবে তার সেই শিক্ষায় কেউ নির্ভরশীল হয় না।  ছাত্র-ছাত্রী ভাই-বোন তাকে অনুকরণ ও অনুস্মরণ করে না। 

করলেও তা ভুল পথে পরিচালিত হয়। একদিন তাকে সবাই ঘৃণার চোখে দেখেই। যে শিক্ষা মানুষকে মানুষ হওয়ার শিক্ষা দেয় না, সেই শিক্ষা নিয়ে কি লাভ? এজন্য -মনীষীগণ স্পষ্টই বলেছেন, বিদ্যার অপর নাম চরিত্র। সংযম ও তপস্যাই হল শিক্ষার মূল ভিত্তি। ছাত্র জীবনই চরিত্র গঠনের উপযুক্ত বয়স। ছাত্র-ছাত্রীরা চরিত্রবান হয়ে উঠলেই জাতির অভ্যুদয় অবশ্যম্ভাবী। একটি জাতির ভবিষ্যৎ হচ্ছে ছাত্রশক্তি, তথা তাদের উন্নত চরিত্র, কর্তব্য পালন, স্বাবলম্বন, সত্যপরায়ণতা ও স্বদেশপ্রীতি। 

এই সদগুণগুলি যদি ছাত্র শক্তি অর্জন না করে, শিক্ষকগণ কর্তৃক উপদেশ প্রাপ্ত না হয় এবং দেশসেবকদের কাছ থেকে উপদেশ না পায় তবে সেই দেশ, জাতির ভবিষ্যৎ অন্ধকার নিশ্চিত। অতএব চরিত্রবলই হল শ্রেষ্ঠবল, উপযুক্ত শিক্ষাবল ও আর্দশবল। চরিত্রহীনদের সাথে শুধু পশুরই তুলনা করা যেতে পারে, মানুষের নয়।

মানুষ বললেই তার জ্ঞান, বিচার, বিবেক অবশ্যই থাকতে হবে। মনুষ্যত্বই মানুষের পরিচয়। চরিত্রই সকল সম্পদের মূল।

আরো পড়ুন:

জীবের খাদ্য এবং খাদ্যাভ্যাস

 শরীর রক্ষার প্রয়োজনীয়তা কি?

জন্মদিন পালনের রীতি: সনাতন ঐতিহ্যের যৌক্তিকতা ও পাশ্চত্য ট্রাডিশনের অযৌক্তিকতা।