ভগবান কাহাকে বলে?
সমগ্র
ঐশ্বৰ্য্য, বীৰ্য্য, যশ, শ্রী, জ্ঞান
ও বৈরাগ্য—এই ছয়টিকে ‘ভগ'
বলে। এই
ছয়টি গুণ যাঁহার মধ্যে
পূর্ণভাবে বিদ্যমান, তাঁহাকে ভগবান বলে| “ঐশ্বৰ্য্যস্য
সমগ্ৰশ্চ বীৰ্য্যস্য যশসঃ শ্রিয়ঃ।।
জ্ঞান-বৈরাগ্যয়াশ্চৈব ষগ্নাং ভগ ইতীঙ্গনা।।”
উৎপত্তিং চ
বিনাশঞ্চ
ভূতানামাগতিং
গতিম্।
বেত্তি
বিদ্যামবিদ্যাঞ্চ
স
বাচ্যো
ভগবানিতি।।—বিষ্ণুপুরাণ
অর্থাৎ যিনি প্রাণীগণের উৎপত্তি ও বিনাশ, পরলোকে গতি ও ইহলোকে আগমন, বিদ্যা ও অবিদ্যা—সমস্তই অবগত আছেন তাহাকে ভগবান বলে। অথচ ভারতীয় উপমহাদেশে গত 200 বছরে শতশত ভগবানের জন্ম হয়েছে। তারমধ্যে কয়েকজনের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে, যেমন- রামরহিম, রাঁধে মা প্রভূতি। বাকিরা এখনো তার শিষ্যদের কাছে ভগবান রূপেই পূজিত। শিষ্য গুরুকে শ্রদ্ধা করবে কিস্তু তাকে ভগবানের জায়গা কখনোই দিতে পারেনা। একজন গুরুর দায়িত্ব তার শিষ্যকে ঈশ্বর প্রাপ্তির পথ দেখানো আর শিষ্যের কর্তব্য হল গুরু নির্দেশিত পথে জীবন পরিচালিত করা। অথচ গুরু স্বয়ং ঈশ্বর সেজে বসে যান। এজন্য অবশ্যই তাকে সদগুরুর সন্ধান করতে হবে।গুরু যদি হন রামকৃষ্ণের মত বিবেকানন্দের মত শিষ্য তৈরী হবে। আর গুরু যদি হয় রাম রহিম বা রাঁধে মা এদের তাহলে আপনার পরিণতি কী হতে পারে চিন্তা করুন। গুরুবাদের এই চরম বিপর্যয় সনাতন ধর্মের অনেক ক্ষতি করে যাচেছ। এদের দেশদ্রোহী বললেও ভুল হয়না। কারণ অধিকাংশ গুরুর সম্পদ বাংলাদেশের তুলনায় ভারতে বেশী দেখা যায়। তাই আসুন গুরু চয়নের ক্ষেত্রে দ্বায় সারা মানুসিকতা বাদ দেই।
আরো পড়ুন: স্বামী শ্রীপ্রণবানন্দ মহারাজ এর সংক্ষিপ্ত জীবনী ও ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ
আরতি তত্ত্ব বা আরতি-মাহাত্ম্য ও আরতির শাস্ত্রীয় বিধি
ভাইভোঁটার শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা ও উৎপত্তি ইতিহাস
Comments
Post a Comment