Posts

Showing posts from 2022

শ্রীমৎ স্বামী তপনানন্দ গিরি

Image
শ্রীমৎ স্বামী তপনানন্দ গিরি  শ্রীমৎ স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ মহারাজের অন্তর্ধানের পরবর্তীতে শঙ্কর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ এবং আচার্য পদে অভিষিক্ত হন শ্রীমৎ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজ। পূর্বাশ্রমে তাঁর নাম ছিল শ্রীতপন কান্তি ভট্টাচার্য।  চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার অন্তর্গত মেলঘরে ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের ২৭ নভেম্বর, বাংলা ১১ অগ্রহায়ণ শ্রীমৎ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম শ্রীহরিপদ ভট্টাচার্য এবং মায়ের নাম শ্রীমতি শান্তি ভট্টাচার্য। বাল্যকালে শ্রীমৎ স্বামী তপনানন্দ গিরি স্বামী জগদানন্দ পুরীর ভাবাদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হন।  পড়ালেখার অবসরে তিনি মেলঘর জগদানন্দ সেবাশ্রমে শ্রীমদ্ভগবদগীতা  ও বিবিধ শাস্ত্রগ্রন্থাদি পাঠ করতেন। ধীরে ধীরে তাঁর মধ্যে তীব্র বৈরাগ্যের উদয় হতে থাকে। ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দের পবিত্র শিবরাত্রি তিথিতে সংসারের বন্ধন ছিন্ন করে তিনি সীতাকুণ্ডস্থ শঙ্কর মঠের তৎকালীন অধ্যক্ষ যোগীপুরুষ শ্রীমৎ স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরির আশ্রয় গ্রহণ করেন।  ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজের জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে বারাসাত মঠে তৈরি হয় অপূর্ব  নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীতে আন্তর্জাতি...

অনন্তলোকে যাত্রা করলেন স্যার অসিতবরণ ঘোষ।

Image
অনন্তলোকে যাত্রা করলেন স্যার অসিতবরণ ঘোষ। আমরা হারালাম একজন গুণী মানুষকে। অসিতবরণ ঘোষের জন্ম ১৯৩৬ সালে, যশোর শহরের বাগমারা পাড়ায়। তিনি ১৯৫৩ সালে যশোরের সম্মিলনী ইনস্টিটিউশন থেকে ম্যাট্রিকুলেশন, খুলনার ব্রজলাল কলেজ থেকে আইএসসি এবং যশোরের মাইকেল মধুসূদন কলেজ থেকে ১৯৫৭ সালে কৃতিত্বের সাথে স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। কঠিন ব্যাধি ও আর্থিক সংকটের কারণে স্নাতকোত্তর পাঠে ছেদ ঘটিয়ে তিনি ১৯৫৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার নিজের স্কুলেই শিক্ষকতায় যোগ দেন। তিন বছর শিক্ষকতার পর তিনি ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। দেশের বিভিন্ন কলেজে শিক্ষকতার পর সব শেষে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকে তিনি ১৯৯৩ সালে অবসরগ্রহণ করেন। শিক্ষকতা জীবনের একেবারে শুরু থেকেই তিনি ছাত্রদের সাংস্কৃতিক চেতনা এবং মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধের বিকাশে একজন নিরলসকর্মী হিসেবে কাজ করে চলেছেন।  আমাদের দেশে শিশুশিক্ষায় প্রবহমান নৈরাশ্য ও নৈরাজ্য নিরসনে তিনি বিগত দুই যুগ ধরে নানাবিধ কর্মযজ্ঞের আয়োজন ও উদযাপন করে আসছেন। এতদুদ্দেশ্যে তিনিই প্রথম বিশ্বনন্দিত শিশুশিক্ষাবিদ মারিয়া মন্তেসরি প...

স্যাপিওসেক্সুয়াল কি?

স্যাপিওসেক্সুয়াল মানুষ যখন কারও প্রেমে পড়ে তখন খুব স্বাভাবিকভাবেই সে চেহারা, বাহ্যিক সৌন্দর্য ইত্যাদি দেখেই প্রেমে পড়ে। কিন্তু এমন কিছু মানুষও রয়েছেন যারা চেহারা কিংবা শারীরিক সৌন্দর্য নয়, শুধু বুদ্ধিমত্তা দেখেই প্রেমে পড়েন। বিজ্ঞানের ভাষায় একেই বলা হয় ‘স্যাপিওসেক্সুয়াল’। স্যাপিওসেক্সুয়ালদের প্রেম ও যৌনতার অনুভূতি আবর্তিত হয় মস্তিষ্ককে ঘিরে। শারীরিক সৌন্দর্য বা সামাজিক অবস্থানের চেয়ে তাদের কাছে অনেক বড় হয়ে দাঁড়ায় উল্টোদিকের মানুষটির বুদ্ধিমত্তা। অপরদিকের মানুষটির গভীর চিন্তাশক্তি, কৌতূহলী মনোভাব, প্রচলিত ব্যবস্থাকে প্রশ্ন করার মানসিকতা তাদের প্রচণ্ড আকৃষ্ট করে। মনস্তাত্ত্বিক, রাজনৈতিক, দার্শনিক আলোচনা থেকে তারা রসদ সংগ্রহ করেন। এরা মনে করেন কারো যৌন আকর্ষণ শরীরে নয়, বরং তার মেধায় লুকিয়ে থাকে। আপনিও কি এমন? মিলিয়ে নিন। স্যাপিওসেক্সুয়ালেরা কখনোই হুটহাট প্রেমে পড়েন না। যেহেতু শারীরিক সৌন্দর্য তাদের টানে না, তাই প্রেমে পড়তে তাদের সময় লাগে। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আগে বন্ধুত্ব হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানসিক ও বৌদ্ধিক সংযোগ হলে তবেই আসে প্রেমের প্রশ্ন। মেধা বা বুদ্ধির আকর্ষণ সবচেয়ে বেশি হল...

স্বাধীনতা যুদ্ধে অশ্বিনী কুমার দত্ত এর আত্মত্যাগ।

Image
যে হিন্দু মহল্লাটায় ঢুকেছি, এখানকার সবগুলো বাড়িতে যাওয়ার সুযোগ পেলাম না। সন্ধ্যার পর কেউ আর দরজা-ই খুলতে চাইছে না। বিদ্যুৎ সংযোগবিহীন হি ন্দু এলাকায়, গভীর অন্ধকার নেমে এলো। অনেকের বাড়িতেই বাতি নেই। হয়তো অনেকেরই কেরোসিন কেনার মতো পয়সা নেই।   আমি আশাবাদী ছিলাম - হিন্দু মহল্লায় কেউ না কেউ তাদের বাড়িতে হয়তো আমাকে রাতে থাকতে দেবে। কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য! নানা অজুহাতে প্রত‍্যেকেই আমাকে ফিরিয়ে দিলো। একজন এমন কথাও বললো, "টাহা ধরাইয়া দিয়া ঘরে আইয়া ওডবেন, আর রাইতে মোগো খুন হরবেন! লাগবে না আপনার টাহা, লইয়া যান..." যে পথ ধরে এসেছি, সেই পথ ধরে ট্রলার ঘাটের দিকে ফিরতে লাগলাম। ট্রলারে বাসস্ট্যান্ড যাব। তারপর বাস-রিক্সা যা পাই, তাতে চেপে উপজেলা সদরে গিয়ে আবাসিক হোটেল খুঁজবো। ট্রলার ঘাটে গিয়ে শুনি, জ্যোৎস্না রাত হলে মাঝে মাঝে দু'-একটা ট্রলার ছাড়ে; এই অন্ধকার রাতে কোন ট্রলার ছাড়বে না, আরও দিনকাল ভালো না। আমি স্থানীয় নই শুনে এক লোক বলে, "এই জাগাডা কোলম সাংঘাতিক খারাপ..." পাশ থেকে এক যুবক বলে, "ভাই, মোগো বাড়থে(বাড়িতে) ল'ন..."। যুবকের মুখে হালকা দাড়ি, গোঁফ...

মহান মুক্তিযুদ্ধে হিন্দুদের অবদান

Image
মহান মুক্তিযুদ্ধে হিন্দুদের অবদান ও ত্যাগ পৃথিবীর আর ১০ টা দেশের চেয়ে আলাদা। প্রথমদিকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী কেবল হিন্দুদের বাড়ীতে হামলা চালায়। সাম্পদায়িক এই কাজে সহায়তা কারে  মুসলিম জনগোষ্ঠী। যাদের রাজাকার নামে অভিহিত করা হয়।  " সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে সার্থক জনম মাগো তোমায় ভালবেসে। " রবী ঠাকুরের এই দুটি পঙক্তি কোনো বাঙালি শোনেনি এটি প্রায় একটি অভূতপূর্ব ব্যাপার। কালে কালে এই বঙ্গভূমির ভূমিপুত্ররা দেশমাতৃকাকে দেবীরূপে পূজা করে তার তরে এভাবেই অর্ঘ্য নিবেদন করে গেছে নিরন্তর। বিশ্বের একমাত্র ধর্মীয় গোষ্ঠী শাশ্বত সনাতন সংস্কৃতির ধারক ও বাহকের পক্ষেই কেবল দেশকে মাতৃস্থানে আসীন করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বিশ্বের নিকট। " নানান দেশের নানান ভাষা বিনা স্বদেশী ভাষা মিটে কি আশা! " - রামনিধি গুপ্ত হ্যাঁ, মাতৃভাষা। যা সে ভূমির সন্তানদের কাছে অমৃতসম। ১৯৪৭ সালে যখন ভারত খন্ড হয়ে পাকিস্তান সৃষ্টি হলো তখনই বাঙালির সংস্কৃতি ও ভাষা অস্তিত্ব সংকটের সম্মুখীন হয়। সেই সংকট নিবারণের জন্য প্রথম যে বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর উচ্চারিত হয় সে এই পূণ্যভূমির ভূমিপুত্র বীর শ্রী ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত...

মুসলিম দেশ কাতার এখন দেশটির দ্বিতীয় সংখ্যা গরিষ্ট হিন্দু ধর্মালম্বী জনসংখ্যার দেশ।

Image
কাতারে  হিন্দু জনসংখ্যা বেড়েছে। সনাতন ধর্মালম্বীদের সংখ্যা ভারতীয় উপমহাদেশে জ্যামিতিক হারে কমেছে আর মুসলিম জনসংখ্যা গাণিতিক হারে বাড়ছে। অথচ মুসলিম অধ্যুষিত মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে বেড়েছে হিন্দু জনসংখ্যা। দেশটিতে হিন্দু জনসংখ্যা এখন দ্বিতীয় সংখ্যা গরিষ্ট দেশ। পারস্য উপসাগরের তীরবর্তী একটি মুসলিম প্রধান দেশ কাতার। দেশটি আরব উপদ্বীপের পূর্ব উপকূল থেকে উত্তর দিকে প্রসারিত কাতার উপদ্বীপে অবস্থিত। কাতারের দক্ষিণে সৌদি আরব, এবং পশ্চিমে দ্বীপরাষ্ট্র বাহরাইন অবস্থিত। অন্যান্য আরব দেশের মতো কাতারের আবহাওয়া উষ্ণ ও শুষ্ক। প্রাকৃতিক গ্যাস ও খনিজ তেলের বড় মজুদ রয়েছে কাতারে। প্রাকৃতিক সম্পদের কারণে দেশটির অর্থনীতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ এবং দেশটি বিশ্বের শীর্ষ ধনী দেশগুলোর একটি।  ঊনবিংশ শতকের শেষভাগ থেকে আল-থানি গোত্রের লোকেরা এই অঞ্চলটিকে একটি আমিরাত হিসেবে শাসন করে আসছে। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে দেশটি ব্রিটিশ শাসনের অধীনে আসে। এরপর ১৯৭১ সালে কাতার পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে। ২০১৭ সাল পর্যন্ত কাতারের মোট জনসংখ্যা ২৬ লক্ষ ৪১ হাজার ৬৬৯ জন। কাতারের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১৪ শতাংশ কাতারের বাসিন্দা। আর বা...

চুম্বন কত প্রকার? 'কামসূত্রম্' অনুসারে, চুম্বন আটপ্রকার।

Image
চুম্বন কত প্রকার? 'কামসূত্রম্' অনুসারে, চুম্বন আটপ্রকার। ধর্ম, অর্থ, কাম এবং মোক্ষ এ চতুর্বর্গের উপরে জগত সংসার প্রতিষ্ঠিত। এ চতুর্বর্গের একটি অপরিহার্য বর্গ হল 'কাম'। এ কাম থেকেই প্রজাধারা অবিছিন্নভাবে বহমান ।  কামতত্ত্বের উপরে শাস্ত্রীয় প্রধান গ্রন্থ হল 'কামসূত্রম্'। এ বিশ্ববিশ্রুত সূত্রগ্রন্থটি বাৎস্যায়নের রচিত।এ গ্রন্থে কামতত্ত্বের সকল বিষয়ই সুবিস্তারে আলোচিত হয়েছে। এই  'কামসূত্রম্' গ্রন্থের যষ্ঠ অধিকরণের তৃতীয় অধ্যায়ে চুম্বন সম্পর্কে কোন প্রকারের রাখঢাক না রেখে বিস্তৃতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।  তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতী, প্রেমিক-প্রেমিকা এবং পতি-পত্নীর পরস্পরের হৃদয়ে অত্যন্ত সুখানুভূতি আনে 'চুম্বন। এ চুম্বনে তাদের মাঝে ভালবাসার বৃদ্ধি ঘটে এবং মানসিক অবসাদ দূরীভূত হয়। সম্ভোগের অব্যবহিত পূর্বে অনুষ্ঠিত চুম্বন সম্ভোগকে অত্যন্ত আনন্দঘন করে তােলে।  তাই কামশাস্ত্রে চুম্বনকে আনন্দানুভূতির মুখ্যদ্বার' বলা হয়েছে। ভালবাসলে ভালবাসার মানুষের দেহের প্রতি অধিকার জন্মায়। সেই অধিকার ভালবাসাকে সুতীব্র করে, পূর্ণ করে।প্রেমকে দৃঢ় বিশ্বাসের উপর প্রতিষ্ঠিত করতে এবং ...

অগ্নিকন্যা বিপ্লবী কল্পনা দত্ত কে ছিলেন?

Image
অগ্নিকন্যা বিপ্লবী কল্পনা দত্তের প্রয়াণ দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধা ০৮ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৫। কল্পনা দত্ত ১৯১৩ একজন বিপ্লবী। ১৯১৩ সালের ২৭ জুলাই চট্টগ্রাম জেলার শ্রীপুর গ্রামে তাঁর জন্ম। ১৯২৯ সালে চট্টগ্রাম থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর কল্পনা কলকাতার বেথুন কলেজে যোগদান করেন। শহীদ ক্ষুদিরাম এবং বিপ্লবী কানাইলাল দত্তের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি বেথুন কলেজ-এ গড়ে ওঠা ছাত্রী সংঘ-এ যোগদান করেন। পূর্ণেন্দু দস্তিদারের মাধ্যমে তিনি মাস্টার দা সূর্য সেনের সাথে পরিচিত হন এবং মাস্টার দা প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি, চট্টগ্রাম শাখা-য় যোগদান করেন। তার বিপ্লবী মনভাবের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাকে 'অগ্নিকন্যা' বলেছেন।  বারো বছর বয়সে ক্ষুদিরাম ও কানাইলাল দত্ত-এর বিপ্লবী কর্মকান্ড স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগদানে তাঁকে আগ্রহী করে তোলে এবং তিনি ছাত্রী সংঘ-এ যোগদান করেন। পরবর্তী সময়ে পূর্ণেন্দু দস্তিদার তাঁকে মাস্টারদা সূর্যসেন পরিচালিত বিপ্লবী গোষ্ঠীতে যোগদানে আগ্রহী করে তোলেন।  ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল ‘চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন’ ঘটনার পর কল্পনা চট্টগ্রামে ফিরে আসেন এবং ১৯৩১ সালের মে মা...

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কেন ইহুদীদের এত প্রভাব?

Image
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা প্রায় ৩৪ কোটির মতো। আর সেখানে প্রায় ৭০ লক্ষ ইহুদি বাস করে। আমি হঠাৎ করে গ্রুপে এসব কথা বলছি কেন? কেন বলছি তার জন্য পুরো লেখাটা পড়তে হবে।  সারা বিশ্বে একটি কথা প্রচলিত আছে যে আমেরিকা ইহুদিদের কথায় উঠে বসে। এটা অবশ্য পুরোপুরি সত্য নয়। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও রাজনীতিতে ইহুদিদের অনেক বড় প্রভাব রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ইহুদিরা বেশিরভাগই একেকজন ধনকুবের।  কথিত আছে, প্রয়োজনে তারা হোয়াইট হাউজকে টাকা ধার দেয়। অতি সংগত কারণেই ইহুদিরা সংখ্যায় কম হয়েও প্রভাব বিস্তারে ভূমিকা রাখছে। এর কারণ অবশ্যই ইহুদিদের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা এবং ধনসম্পদের প্রাচুর্য। একজন দরিদ্র লোককে সবাই কেবল করুণা করবে, তার কথা শুনতে চাইবে না বা তার অধিকার নিয়ে কেউ ভাববে না। কিন্তু ধনী বা স্বাবলম্বীকে নিজেদের প্রয়োজনেই মূল্য দেবে।  এখন আমরা সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অনেক দিক থেকেই পিছিয়ে আছি। নিজেদের মধ্যে একতা কম। ক্রমশ কোনঠাসা হয়েই যাচ্ছি। আগে শিক্ষা দীক্ষা ধন সম্পদ সব দিকেই এগিয়ে ছিল সনাতনরা।  আমাদের বর্তমান অবস্থার জন্য অবশ্যই আমরা দায়ী কম নই৷ অপমানের প্...

শ্রী পঞ্চমীতে কি হাতে খড়ি বা বিদ্যারম্ভ হওয়া কি উচিত?

Image
শ্রী পঞ্চমীতে হাতে খড়ি বা বিদ্যারম্ভের একটি প্রচলন আমরা দেখে থাকি। আসুন দেখি এবিষয়ে শাস্ত্র কি বলে   অনধ্যায় তিথিরিয়ম্ "(শ্রীদত্তধৃতম্) সূতি অর্থাৎ শ্রীপঞ্চমীতে অধ্যায়ণ করিবে না। শ্রী পঞ্চম্যাং লিখেন্নৈব ন স্বাধ্যায়নং কদাচন। বাণীকোপমবাপ্নোতি লিখনে পঠনেহপি চ। শ্রীপঞ্চমীতে লিখিবে না, পড়িবে না ;  ।"সরস্বতী পুজার দিন লেখা পড়া নিষেধ...... ওইদিন হাতে খড়ি টা সম্পূর্ন অশান্ত্রীয় ৷ হাতে খড়ি অন্য দিন আছে তাকে বলে বিদ্যারম্ভ বলে সেটি সনাতন ধর্মের দশবিধ সংস্কারের একটি সংস্কার ৷ বিদ্যারম্ভের দিন আলাদা ভাবে পঞ্জিকায় লেখা থাকে, বাণী বন্দনার দিন বিদ্যারম্ভ করা সম্পুর্ণ অশাস্ত্রীয়। আমরা দেখি বা দেখে আসছি যে সরস্বতীপূজোর দিন আমরা অনেকেই হাতে খড়ি করিয়ে থাকি। তবে এই নিয়মটি সম্পূর্ণ ভুল একটি প্রচলিত প্রথা।  বলা হচ্ছে, "পঞ্চম‍্যাং পূজয়েল্লক্ষ্মীং পুষ্পধূপান্নবারিভিঃ। মস‍্যাধারং লেখনীঞ্চ পূজয়েন্ন লিখেত্ততঃ।।" অর্থাৎ, মাঘ মাসের শুক্লা শ্রীপঞ্চমীতে পুষ্প-ধূপ-অন্ন-জলাধার দ্বারা দেবী লক্ষ্মী সহ মস‍্যাধার-লেখনীর পূজা করিবে। তথাপি লিখিবে না। এখানে "পূজয়েন্ন লিখেত্ততঃ" এটির অর্থাৎ পূজ...

গুরু : অসৎপথের গুরু পরিত্যাজ্য

Image
গুরু একটি সংস্কৃত শব্দ, এবং এর অর্থ "পরামর্শদাতা, পথপ্রদর্শক, বিশেষজ্ঞ বা শিক্ষক"। আক্ষরিক অর্থে অন্ধকার দূর করা। গুরু হলেন আধ্যাত্মিক জগতের পথ প্রদর্শক। তিনি অধ্যাত্মজ্ঞান প্রদান করেন।  আপনি আপনার ইচ্ছামত যে কোন মঠ মন্দির এবং আশ্রম থেকেই দীক্ষা নিতে পারেন।কিন্তু দীক্ষা নেয়ার আগে, কাউকে গুরু বলে মেনে নেয়ার আগে; আপনার কয়েকটি প্রয়োজনীয় বিষয় মনে রাখতে হবে। যে মঠ, মন্দির এবং আশ্রমে বেদ-গীতার নিরবচ্ছিন্ন চর্চা আছে; এমন কোন সম্প্রদায় থেকেই দীক্ষা নিবেন।  তবে ঈশ্বরের পথে যথাযথভাবে চলতে পারবেন। যে সম্প্রদায়ের মধ্যে, বেদ-গীতা বাদ দিয়ে শুধু ব্যক্তিকেন্দ্রিক গুরুবাদ এবং গুরুর পরিবারই শুধু পূজারবেদিতে রয়েছে ; তাদের থেকে কখনো দীক্ষা গ্রহণ করবেন না।  দেববিগ্রহ বাদ দিয়ে শুধু গুরুকে এবং গুরুর অবর্তমানে তার পরিবার বা বংশধরদের পূজা করতে হবে -এ মতবাদটি অশাস্ত্রীয়। বেদ- বেদান্তকে দূরে ঠেলে দিয়ে গুরুর নামে সম্পূর্ণ ব্যক্তিসর্বস্ব মতবাদের আস্তানা যারা তৈরি করেছে তাদের থেকে সহস্রগুণ দূরে থাকবেন।  এই স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিকেন্দ্রিক গুরুবাদী ব্যক্তিরা নিজেদের গুরুগিরি ব্যবসার হীনস্বার্থে সাধ...